শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ      ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি      
ধর্ম
গুনাহ থেকে বাঁচতে যে ৫ কাজ উপকারী
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: রোববার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধ মেনে চলাই তার আনুগত্য আর তা অমান্য করা গুনাহ ও অবাধ্যতা। প্রকৃত মুমিন সর্বদা তার রবের অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। কারণ তার অন্তরে আছে আল্লাহভীতি। যার অন্তরে আল্লাহভীতি আছে সে তার প্রতিপালকের অবাধ্যতা ও নাফরমানিতে লিপ্ত হয় না।

তার পরও গুনাহ হয়ে যাওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়। গুনাহের প্রতি আকর্ষণ মানুষের স্বভাবজাত। শয়তানের ধোঁকা, নফসের প্ররোচনা, পরিবেশের তাড়না মানুষকে বিভিন্ন পাপ কাজে জড়িয়ে ফেলে। গুনাহ থেকে বাঁচতে আলেমরা ৬টি আমলের কথা বলেন। যেগুলোর মাধ্যমে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ। আমলগুলো হলো—

কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার অভ্যাস: যেকোনো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার অভ্যাস মানুষকে গুনাহ থেকে দূরে রাখে। আর প্রতিটি ভালো কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা সুন্নত। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার নামে কাজ শুরুর অভ্যাস আপনাকে এ কথা ভাবতে বাধ্য করবে যে, এর পরও কি আমাকে পাপে জড়ানো ঠিক হবে? আমি তো কাজটি শুরু করেছি মহান আল্লাহতায়ালার নামে!

আউজুবিল্লাহ পড়া: আউজুবিল্লাহ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। আউজুবিল্লাহ অর্থ আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। পূর্ণ বাক্য হলো—‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম। অর্থ: আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। মনের মধ্যে গুনাহের চিন্তা জাগ্রত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থের প্রতি খেয়াল করে কয়েক বার আউজুবিল্লাহ পড়া। সম্ভব হলে একটু আওয়াজ করে পড়া। কমপক্ষে নিজে শুনতে পান এটুকু আওয়াজে পড়ুা। দেখবেন, এর ফলে শয়তানের কুমন্ত্রণা কেটে যাবে। ইনশাল্লাহ।

আল্লাহতায়ালা এ মর্মে ঘোষণা করেন, ‘আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর কাছে (শয়তান থেকে) আশ্রয় প্রার্থনা করো।’ (সূরা আরাফ: ২০০)

মাসে অন্তত তিন দিন রোজা রাখা: পাপ থেকে বাঁচতে মাসে অন্তত তিন দিন রোজা পালন বেশ কার্যকর একটি আমল। এ রোজা আপনি যেকোনো সময় পালন করতে পারেন। হতে পারে আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ, অথবা প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার। কেননা রোজার মধ্যে প্রবৃত্তির টানে ছুটে যাওয়া থেকে যেমন সুরক্ষা রয়েছে, তেমনি রয়েছে আল্লাহর কাছে বড় প্রতিদান। মানুষের ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় করা, ধৈর্য, সহনশীলতা ও আনন্দদায়ক বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দীক্ষা রয়েছে রোজায়। তাই রোজা রাখার ব্যাপারে মনস্থির করুন। আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা আপনার বোঝা হালকা করবেন।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নাই, সে যেন রোজা পালন করে। কেননা, রোজা তার যৌনতাকে দমন করে।’ (সহি বোখারি: ৪৯৯৬)

বিয়ে: সম্ভব ও সামর্থ্যবান হলে বিয়ে করা। না হলে বিয়ের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করা। আলেমরা বলেন, গুনাহ যদি যৌবন তাড়িত হয়- তাহলে বিয়ের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করুন। প্রয়োজনে আপনার অভিভাবককে এ বিষয়ে বলুন। প্রয়োজনের কথা বলে বিয়ের আগ্রহ ব্যক্ত করতে কোনো সমস্যা নেই। এ ব্যাপারে দারিদ্র্যকে ভয় পাবেন না, আল্লাহতায়ালা তার করুণায় অভাবমুক্ত করে দেবেন। কেননা, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যবান ও মহাজ্ঞানী।’ -সূরা আন নূর: ৩২

এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা তিন প্রকারের মানুষকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহতায়ালার পথে জিহাদকারী, মুকাতাব গোলাম যে চুক্তির অর্থ পরিশোধের ইচ্ছা করে এবং বিবাহে আগ্রহী লোক যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবন যাপন করতে চায়।’ (জামে তিরমিজি: ১৬৫৫)

মাঝে-মধ্যে জ্বলন্ত আগুনের সামনে দাঁড়ানো: সম্ভব হলে, মাঝে-মধ্যে জ্বলন্ত চুলার সামনে দাঁড়াবেন; আগুন দেখবেন। মনে জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করবেন। আগুন সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা যে অগ্নি প্রজ্বলিত করো, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?’ (সূরা ওয়াকিয়া: ৭১)

আলেমরা বলেন, আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবা দুনিয়ার আগুনের জ্বালানি তো লাকড়ি ও গ্যাস ইত্যাদি। এর উত্তাপই যদি এত বেশি হয়, সবকিছু জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়—তাহলে গুনাহের কারণে আমি যে নিজেকে জাহান্নামের উপযুক্ত করে নিচ্ছি, যে আগুনের ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, সেই আগুন আমি সহ্য করব কীভাবে? এভাবে চিন্তা করলে গুনাহর চিন্তা ধীরে ধীরে বিদায় নেবে। ইনশাল্লাহ।

কেকে/এএম
আরও সংবাদ   বিষয়:  গুনাহ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

আজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে সাউথইস্ট ব্যাংকের শোক
রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ
মাইলস্টোনে নিহত ফাতেমার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু
ডিইপিজেড থেকে সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তাকে তুলে নিলো সন্ত্রাসীরা

সর্বাধিক পঠিত

‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি’
শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল
সালথায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গ্রেফতার
রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না: মির্জা ফখরুল
বড়লেখা ২০ফুট লম্বা অজগরকে পিটিয়ে হত্যা
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close