ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বকেয়া বেতনের দাবিতে কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিক্ষোভ

খুলনা ব্যুরো
🕐 ৭:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২১

 বকেয়া বেতনের দাবিতে কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতনের দাবিতে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) অস্থায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভ করেন। এর আগে তারা কেসিসির পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ গ্যারেজের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভ চলাকালে কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ‘আমাদের দাবি না মানলে পরিচ্ছন্ন কাজ বন্ধ থাকবে, আমাদের দাবি মেনে নিন ৫ মাসের বেতন দিন’ লেখা প্লাকার্ড বহন করে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ১২০ জন বহিরাগত শ্রমিক দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বেতন না পেয়ে তারা অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কেসিসির তেলের ট্যাংক গ্যারেজের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবারও তারা বিক্ষোভে নামেন।

শ্রমিক রাকিব বলেন, ‘করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য পরিষ্কার করছি। অথচ গত ৫ মাস বেতন পাচ্ছি না। বর্জ্য অপসারণের সময় গ্লাভস, মাস্ক, বুটজুতা, হেলমেট ব্যবহার করার কথা থাকলেও আমাদের কিছুই নেই। শুনেছি আমাদের জন্য এগুলো বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু আমরা পাইনি। বর্তমানে বেতন না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। মুদি দোকানিরা আর বাকি দিতে চান না। বাড়িওয়ালারাও বাসা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।’

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে কেসিসির আউট সোর্সিংয়ের চাকরিতে যোগদান করেন। কয়েক মাস সঠিকভাবে বেতন পেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি জুলাই মাস (পাঁচ মাস) পর্যন্ত বেতন পাননি। বার বার কর্মীদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলামের কাছে বেতনের জন্য ধর্ণা ধরেও বেতন পাননি। শ্রমিকরা খুব অসহায় অবস্থায় আছেন। একে লকডাউন, সেই সাথে সামনে ঈদ। এই সময় টাকা না পেলে তারা না খেয়ে মরবে।

শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত ছিল নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করার। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করায় তারা প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন।

বহিরাগত শ্রমিকদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত শ্রমিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের হাজিরা সংক্রান্ত একটি জটিলতার কারণে সিটি মেয়র তদন্ত কমিটি করেছিলেন। তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিটি মেয়র অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় বিলম্ব হয়েছে। মেয়র খুলনায় আসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

 
Electronic Paper