ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১০ বছরেও সংস্কার হয়নি সাগরদাঁড়ি সড়ক

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৮, ২০১৯

দীর্ঘ দশ বছরেও সংস্কার  হয়নি যশোরের কেশবপুরের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি মধু সড়কটি। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ভারী পণ্যবাহী ট্রাক-লরি চলাচল করার সময় সড়কের গর্তে আটকে গিয়ে সীমাহীন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ সংস্কারের নামে প্রতিবছর মধুমেলার আগে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের গর্ত খোয়া দিয়ে ভরাটসহ ম্যাকাডাম করে সংস্কার কাজ শেষ করে বলেই সড়কটির এই বেহালদশা। সামনের মধুমেলার আগেই সড়কটি সংস্কারে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। 

যশোরের কেশবপুর থেকে ১৩.১০০ কিলোমিটার দূরে মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি পর্যন্ত সড়কটি কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়ক নামে পরিচিত। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন এলাকার হাজার-হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন।

সাতক্ষীরা যেতে হাইওয়ের চেয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ কম হওয়ায় যশোর-সাতক্ষীরা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্য যানবাহন যাতায়াতে সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশ বরেণ্য কবিভক্ত ও স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা পিকনিক করতে আসেন।

এছাড়া ২০১৮ সালে নির্মিত যশোর পুলেরহাট ভায়া কুমিরা সড়কটি সাগরদাঁড়ির মধুপল্লীর পাশ দিয়ে চলে গেছে। এসব কারণেই সড়কটি আরও জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ইটের খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বাধ্য হয়ে জনগণকে বিকল্প পথে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে কেশবপুর শহরসহ অন্য স্থানে যেতে হচ্ছে। মধুকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় তিন বছর আগে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সড়কটি প্রশস্ত ও পুননির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

এ সময় এলজিইডি হাল ছেড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনও মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে দোটানায় পড়ে সড়কটির সংস্কার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর আলী বলেন, সড়কটি সংস্কারে প্রাথমিকভাবে ৪৪ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এরমধ্যে মূল সড়কের জন্যে ২৪ কোটি টাকা ও জমি অধিগ্রহণের জন্যে ২০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ওই সড়ক উন্নয়নের জন্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছিল এবং অর্থ বরাদ্দ করা হয় ৭ কোটি টাকা।

 
Electronic Paper