ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যাকডেটেট ওয়েবসাইট, নেই পর্যাপ্ত তথ্য, বিভ্রান্তিতে শিক্ষর্থীরা

হালনাগাদ হয় না বেরোবির ওয়েবসাইটে

বেরোবি প্রতিনিধি
🕐 ৫:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৮

অনেকদিন ধরেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত কোনো তথ্য নেই। আর যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর কোনো আপডেট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি হলেও সে সম্পর্কে কোনো তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।

ওয়েবসাইটটিতে যেসব তথ্য দেখা যায় সেগুলো অনেক আগে যুক্ত করা হয়েছে। আবার দেখা গেছে ওয়েবসাইটে একই তথ্য দুই ভাবে দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একাধিক শিক্ষকের নাম ঝুলছে ওয়েবসাইটে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অনেক দপ্তর বা বিভাগ সম্পর্কে ওয়েবসাইটে কোনো তথ্যই সংযোজন করা হয়নি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটির (www.brur.ac.bd) হোমপেজে অ্যাডমিশন, একাডেমিক ফ্যাকাল্টি, অফিস অর্ডার, ওয়েবমেইল ও কন্টাক্ট আস নামের ৫টি মূল ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। এছাড়া সাব ক্যাটাগরিতে ডিপার্টমেন্টস্, সেন্টার লাইব্রেরি ও সাইবার সেন্টারের নাম রয়েছে। মূল ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে অ্যাডমিশনে প্রবেশ করে দেখা যায়, সেখানে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষর ফলাফল যুক্ত রয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির তারিখ নির্ধারণ হলেও সে সম্পর্কে কোন তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। অ্যাকাডেমিক ফ্যাকাল্টি নামক ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও বিভাগীয় প্রধানগণের নাম রয়েছে। তবে, এই তথ্যের সাথে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ডিপার্টমেন্ট নামক সাব ক্যাটাগরির তথ্যে বেশ অমিল লক্ষ্য করা গেছে। অ্যাকাডেমিক ফ্যাকাল্টিতে বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ড. নাজমুল হক আর অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ড. সাইদুল হকের নাম যুক্ত রয়েছে। যদিও ওই বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড. সাইদুল হক। একইভাবে আরও আটটি বিভাগে দুইজন করে বিভাগীয় প্রধান দেখানো হয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। বেশির ভাগ বিভাগে নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলেও তাদের নাম যুক্ত করা হয়নি। এছাড়া, বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের পদোন্নতি হলেও ওয়েবসাইটে তাদের পূর্বের পদবী বহাল রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ হলেও ওয়েবসাইটে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনের নাম যুক্ত রয়েছে। গণিত বিভাগ এবং লোক-প্রশাসন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের হালনাগাদ করা হয়নি নতুন বিভাগীয় প্রধানের নাম। এছাড়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও গণিত বিভাগের সবশের্ষ আপডেট করা হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর বিভাগ দুটির কোনো তথ্যই হালনাগাদ করেনি কর্তৃপক্ষ। ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগসহ ওয়েব সাইটটির বিভিন্ন অপশনে ক্লিক করলে প্রক্রিয়াধীন হয়ে পুনরায় হোম পেজে ফিরে আসে। আর অফিস অর্ডার নামের ক্যাটাগরিতে কোনো তথ্যই যুক্ত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওয়েবসাইটটি পরিচালনার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মুহাঃ শামসুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কাগজে-কলমে কমিটি থাকলেও দীর্ঘ এক বছরেও বাস্তবে কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি এই কমিটির।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও  সাইবার সেন্টারের পরিচালক মুহাঃ শামসুজ্জামানের মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 
Electronic Paper