জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকালে সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ঈদের ভিজিএফ তালিকাসহ অন্যান্য সব কাজ তার কথামতো করতে হবে বলে জানান মিজানুর রহমান রতন।

এ সময় ইউপি প্রশাসক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল ইসলাম সরকারি নিয়ম অনুসারে কাজ করার কথা জানালে মিজানুর রহমান তাকে পরিষদের অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের সাথে এমন আচরণে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের অনেকেই ক্ষোভ ও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

কৃষি কর্মকর্তা ও সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক শাহাদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি পরিষদ কার্যালয়ে বসে বিভিন্ন সেবাগ্রহীতাদের সেবা দিচ্ছিলেন।

এ সময় মিজানুর রহমান রতন দলবল নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে পরিষদের সব কাজ তার কথামতো করতে হবে বলে হুমকি দেন। তিনি সরকারি নিয়ম অনুসারে সব কাজ করবেন বলে জানালে মিজানুর রহমান তাকে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। শাহাদুল ইসলাম তার কাজ ফেলে চেয়ার থেকে উঠবেন না জানালে মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকা লোকজনও প্রশাসকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং তাকে অফিস ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

তবে শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে মিজানুর রহমান তার দুর্ব্যবহারের জন্য শাহাদুল ইসলামের কাছে ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান রতন জানান, ইউপি প্রশাসকের সাথে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তবে সেটার সমাধান হয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদির শাহ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি। আপনারা শুধু এই একটি ঘটনাই শুনেছেন।

উল্লেখ্য, মাদারগঞ্জে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে অথবা জেল হাজতে থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কেকে/এএম