কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনায় তিন দিনের ব্যবধানে সকল কাঁচা পণ্যের দাম বেড়েছে, লেবু আর বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আসন্ন রমজান উপলক্ষে বাজার গুলোতে সিন্ডিকেটে পরিণত হচ্ছে আর এই দিকে চিন্তায় পড়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
আজ শনিবার (১ মার্চ ) সকালে ইটনা সদর ইউনিয়নের বড় কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৫ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, লেবু হালি ৬৪ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, খিড়া ৪০ টাকা অথচ তিনদিন আগেও আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, লেবু হালি ৩৬ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০-৩৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা, খিড়া ৫-১০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও খেজুর বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৮০-৬০০ টাকা, আধা কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা পিস।
ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায় এতে বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি তাদের আয়-রোজগার। ইফতারিতে লেবু আর বেগুনে ব্যবহার বেশি হয় এইজন্য এই গুলোর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
ক্রেতা শাহজাহান জানান, রমজান আসলেই শাক-সবজি, ফলমূলের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়, এত চড়া দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে কষ্ট হয় সাধারণ মানুষের। বাজার সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষের কোনো মূল্য নেই। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব হবে না।
সবজি ব্যবসায়ী ঝন্টু দেবনাথ জানান, সবজির দাম নির্ধারণ করে আড়ৎদাররা। উনারা কম দামে আমাদের কাছে বিক্রি করলে আমরাও কম দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারি। তিনদিন ধরেই সব কিছুর দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। সামনে আরো দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, আমরা নিয়ামতপুর বাজার থেকে সবজি কিনে আনি, দাম কমানো-বাড়ানো সব কিছু নিয়ামতপুর বাজার আড়ৎদাররা করেন। আমরা শুধু কিনে আনার পর কেজিতে সামান্য কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। আড়ৎতে যদি সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যায় তাহলে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম দেখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আসন্ন রমজানেও বাজারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
কেকে/এআর