যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক লাইট এয়ারক্রাফট ডিজাইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এএইউবি)। রয়্যাল অ্যারোনটিকাল সোসাইটি (আরএইএস), যুক্তরাজ্য কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে এএইউবি’র প্রতিযোগী দল ‘বিহঙ্গ’ প্রথম স্থান অর্জন করে।
গত ১০ নভেম্বর রয়্যাল অ্যারোনটিকাল সোসাইটি’র বার্ষিক কনফারেন্সে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এটি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক বিমান ডিজাইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঐতিহাসিক সাফল্য।
রয়্যাল অ্যারোনটিকাল সোসাইটি বিশ্বব্যাপী অ্যারোস্পেস ও অ্যাভিয়েশন খাতের একমাত্র প্রফেশনাল সোসাইটি এবং তাদের বার্ষিক আয়োজন হিসেবে লাইট এয়ারক্রাফট ডিজাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। চলতি বছরের প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ৬–৮ যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন উভচর (অ্যাম্ফিবিআস্) বিমান ডিজাইন ও তার পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নকশা তৈরি করা, যা স্থল এবং জল উভয় স্থান থেকেই উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে সক্ষম।
ফলাফল ঘোষণার পরপরই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে লন্ডনে আয়োজিত কনফারেন্সে ‘বিহঙ্গ’ দলের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার গ্রুপ ক্যাপ্টেন ড. সাইফুর রহমান বকাউল এবং দলের সদস্য মো. রেদোয়ান হাসান ও নুসরাত বিনতে আলম তাদের ডিজাইনকৃত বিমানের বিশেষত্ব তুলে ধরেন। তারা বিমানের অ্যারোডায়নামিক্স, প্রপালশান, স্ট্যাবিলিটি, অ্যাভিওনিক্স, পারফরম্যান্স এবং মিশন প্রোফাইলসহ প্রকৌশল উপাদানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় আরও তুলে ধরা হয় কিভাবে এই বিমান ব্যবহার করে কোরাল সিডিংয়ের মাধ্যমে কোরাল রিফ পুনরুদ্ধার ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।
এই অসাধারণ অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবদান উল্লেখ করেন এএইউবি কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য ‘বিহঙ্গ’ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ অর্জন এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে।
কেকে/ আরআই