ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ফটোগ্রাফিক সোসাইটির ফটোগ্রাফি কর্মশালা ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে এ কর্মশালা শুরু হয়। পরে দুপুরে ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ভবনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং স্ক্রিপ্টরাইটার অ্যান্ড হোস্ট শাকিরা ইসলাম ও আশরাফুল হকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ও সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. জহির উদ্দিন আনন্দ।
মো. জহির উদ্দিন আনন্দ বলেন, “একটা ভালো ছবির পেছনে একটা গল্প থাকতে হয়, জ্যামিতিক অনেক ব্যাপার থাকতে হয়, তারপর একটা ভালো ছবি মানুষের সামনে উপস্থিত হয়। আজকের উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা ক্যাম্পাসে টুকটাক ছবি তোলার চেষ্টা করে তাদের কিছু রুলস শেখানো, যাতে তারা ছবিটাকে আরও ইনপ্রুভ করতে পারে, ভবিষ্যতে কোনো কম্পিটিশন বা এক্সিবিশনে দিতে পারে।”
সংগঠনের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন বলেন, “এই কর্মশালাটি একটি ব্যতিক্রম কর্মশালা। আমরা দেখি সবসময় নিয়মিত কর্মশালাগুলো স্লাইডের ভেতর, তত্ত্বের ভেতরই সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। আজকের কর্মশালা থেকে প্র্যাকটিক্যাল ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এই সবকিছুই শেখানো হয়েছে। প্র্যাকটিক্যাল ফটোগ্রাফিতে ফ্রেন্ডলি মাধ্যমে ফটোগ্রাফি শেখা যায় এবং বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো যায়।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আমরা যখন কোনো জিনিস লিখিত পাই না, তখন ছবির কাছে ফিরে যাই। ফরেনসিক এভিডেন্সে আমরা ছবি দেখেই সেখান থেকে উদ্ধার করি- কি ধরনের ঘটনা সেখানে ঘটেছিল। ফটো জার্নালিজম খুবই ইম্প্যাক্টফুল একটা মাধ্যম। বর্তমানে যখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ছড়াছড়ি, তখন আমি দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।”
তিনি বলেন, “ফটো জার্নালিজমের পরই জার্নালিজম গতি পেয়েছে। বর্তমানে ছবির মাধ্যমে স্টোরিটেলিংয়ের একটি বিরাট প্রবাহ চলছে সারাবিশ্বব্যাপী। একটি সত্যকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে ফটো জার্নালিজম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। ফটো জার্নালিজম জীবন্ত ইতিহাস তৈরি করে, পরবর্তী জীবন্ত ইতিহাসের সূচনা করে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি কর্মশালাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যা তোমরা শিখবে, যেখানে তোমাদের আগ্রহ রয়েছে, সেখানে তোমরা তোমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারো। আমি মনে করি, যারা ফটো জার্নালিজম শুরু করেছ— তারা শখ হিসেবেও এটা নিতে পারো। তোমরা যারা ক্যামেরাবন্দি ইতিহাস তৈরি করতে চাও— তারা একটা কমিটমেন্ট নাও যেন এটাকেও তোমরা পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারো।”
কেকে/ আরআই