ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেছেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে নারীরা নিরাপত্তার সাথে আবাধে চলাফেরা করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। নারীর নিরাপত্তা সর্বাগ্রে।
তিনি বলেন, “ইসলাম ক্ষমতায়ন হলে নারীদেরকে পর্দার নামে ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হয়, এটা প্রাশ্চাত্যদের শিখানো বুলি। মুলত—পর্দা করে নারীরা নিরাপত্তার জন্য। বাহিরের প্রয়োজন ছাড়ার জন্য। ঘরে তো আবদ্ধ হয়ে থাকে না। এই মিথ্যা বুলিকে আউরিয়ে যারা নারী স্বাধীনতার নামে অপপ্রচার চালিয়েছে, তারা ভন্ড প্রতারক। তারা মূলত নারীদেরকে ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করেছে। নারীদের মর্যাদা না দিয়ে অবমূল্যায়ন করেছে।”
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় রাজধানী উত্তরার ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট ঢাকা-১৮ আসনের আয়োজনে “কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নারী সমাজের ভূমিকা” শীর্ষক ‘মহিলা তালীম’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, “ইসলাম প্রচারের সর্বপ্রথম যিনি সহযোগিতা করেছেন ও সাহস যুগিয়েছেন তিনি একজন নারী। তার নাম হচ্ছে খাদিজাতুল কুবরা (রা.)। আমাদের মা, বোন, স্ত্রী ও মেয়েদেরকে খাদিজার উত্তরসূরী হতে হবে। বর্তমানে এই ঘুনে ধরা সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নারীদের মর্যাদা অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য খাদিজার উত্তরসূরী মা-বোনদেরকে সাধ্য অনুযায়ী দাওয়াত ও তালিমের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তাহলেই কেবল নারী সমাজ তাদের পূর্বের গৌরবময় মর্যাদা ফিরে পাবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, মুফতী মো. মাছউদুর রহমান, মুফতী আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, আলহাজ্ব মো. আবু জাফর আলম, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন সাবেরী, মাওলানা আব্দুল জব্বার, মুফতী নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
কেকে/এজে