রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫,
১০ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ‘শিগগিরই’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন      বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে : তারেক রহমান      রাউজানে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদল নেতা খুন      জরিপে জানা গেল ঢাকাবাসীর মাথাপিছু বার্ষিক আয়      স্ত্রীর মৃত্যুর ১১ ঘণ্টা পর প্রাণ গেল স্বামীর      সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা      নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে : রিজওয়ানা হাসান      
দেশজুড়ে
প্রশাসন নিরব জনমনে ক্ষোভ
চেক জালিয়াতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ
জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:১১ এএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ বিল্লাহর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

চেক জালিয়াতি মামলায় আদালত থেকে ৪ বছরের সাজা হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওবায়দুল নামের একজন বাদী “চেক ডিজঅনার” মামলাটি (মামলা নম্বর- ৫৫৫/২৪) দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালত মোরশেদ বিল্লাহকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর তিনি গত ৩ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফেরারী আসামি হিসাবে পলাতক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মোরশেদ বিল্লাহ মনোহরপুর বাজারের তারেক নামের এক দোকানদারের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার, খয়েরহুদা গ্রামের মামুনের কাছ থেকে ২৫ হাজার, মনা মাস্টার নামে পরিচিত মোশাররফ হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার, কৃষক মাহবুবের কাছ থেকে সার দেওয়ার নাম করে ৩ হাজার এবং ধোপাখালী গ্রামের মোমিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সুমনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেন বলে জানা গেছে। 

এমনকি উদ্দীপন ও আশা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

স্থানীয় কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন, মনোহরপুর গ্রামের ‘সমলয় কৃষি প্রকল্প’ থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে চেকের মামলা ছিল, সেটা প্রায় মীমাংসা হয়ে গেছে। কিছু টাকা দিয়েছি, বাদী গেলেই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।’

এদিকে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মোরশেদের কোনো মামলায় সাজা হয়েছে কি না আমি জানি না। সে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছিল, এটুকুই জানি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার জানায়, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

স্থানীয়দের দাবি, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে এমন গুরুতর অভিযোগ ও দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।

কেকে/বি
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বানারীপাড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল
‘শিগগিরই’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন
নীলফামারীতে সাংবাদিকদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
একটি মৌলবাদী দল ছলনা ও বিভ্রান্তি করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ৩০

সর্বাধিক পঠিত

১৭ বছর আন্দোলন করে তারেক রহমান ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছেন
শ্রীমঙ্গলে অপহৃত কিশোরী সিলেট থেকে উদ্ধার, গ্রেফতার দুই
বাগাতিপাড়ায় অপপ্রচারের প্রতিবাদ সাংবাদিক নেতা কামরুল ইসলামের
চরম সংকটে লবণ শিল্প, আতঙ্কে চাষিরা
বেনাপোল বন্ধন ব্লাড ফাউন্ডেশনের পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close