যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাথরা সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সুপারের শ্যালককে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ক্লিনার পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে ক্লিনার পদে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হলে কয়েকজন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে মাদ্রাসার সুপার মোজাফফার হোসেনের শ্যালক নূরুল ইসলামও ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সালে দাখিল পাশ করেন। সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৯। সে অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নিয়োগের সময় তার বয়স ছিল ৩৯ বছর, যা ওই পদে আবেদনের জন্য অযোগ্য।
অভিযোগে বলা হয়, পরে সুপার মোজাফফার হোসেন ভুয়া প্রত্যয়নপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে সেখানে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮৫ দেখান এবং এমপিওভুক্তির জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি করে।
স্থানীয়দের দাবি, সুপারের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। তবে এবার সরেজমিন তদন্ত ও সনদ যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
নিয়োগপ্রাপ্ত নূরুল ইসলাম বলেন, অর্থের বিষয় সঠিক না। আমার জন্মতারিখ ভূল ছিল। তাই আমি পরে আদালত থেকে এভিডেভিড করে আমর জন্মতারিখ ঠিক করে নিয়েছি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মোজাফফার হোসেন বলেন, অর্থ বা ক্ষমতার দাপট দেখানোর বিষয় সঠিক নয়। আমি কোন ভুয়া সনদপত্র দেয়নি। তবে ক্লিনার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত নূরুল ইসলাম আদালত থেকে এভিডেভিড করে তার কাগজপত্র সঠিক করে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেকে/ আরআই