ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এয়ারোস্পেস ফোর্স তাদের উন্নত সংস্করণের দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘এমাদ’ ও ‘কদর’ উন্মোচন করেছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবিতে প্রচারিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশের ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলোর অভ্যন্তরীণ অংশ তুলে ধরা হয়, যেখানে এই আপগ্রেডেড ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রদর্শন করা হয়।
আইআরআইবির ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কদর’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে উন্নত ইলেকট্রনিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে, যা শত্রুপক্ষের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বা সিগন্যাল জ্যামিং আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম। অন্যদিকে ‘এমাদ’ ক্ষেপণাস্ত্রকেও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় উন্নত ও কার্যকর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলো সম্পূর্ণ পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ করে আবারও আক্রমণ সক্ষম অবস্থায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইআরজিসির এয়ারোস্পেস কমান্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সদ্য উন্নতকরণ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইতিমধ্যে লঞ্চারে বসানো হয়েছে, শুধু নির্দেশ পেলেই তা নিক্ষেপ করা যাবে।’
এর আগে ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় আকস্মিক বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় নিহত হন আইআরজিসির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক।
এর জবাবে ইরান একাধিকবার মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে। দুই সপ্তাহের পাল্টাপাল্টি হামলার পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।
কেকে/এআর