রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫,
৩ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের      শিক্ষকদের থালা-বাটি হাতে ‘ভূখা মিছিল’ আজ      যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান      ষড়যন্ত্রে দগ্ধ দেশ      কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভয়াবহ আগুন      শাহজালালে ফ্লাইট চলাচল শুরু      আর্জেন্টিনা দলের আঞ্চলিক স্পন্সর হলো ওয়ালটন      
ধর্ম
খেলাধুলা সম্পর্কে যা বলে ইসলাম
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
প্রকাশ: রোববার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২১ এএম

বিনোদন ও শরীরচর্চা মানবজীবনের একান্ত প্রয়োজনীয় বস্তু। সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন সফল জীবনের ভিত্তি। বিনোদন বা খেলাধুলাকে তাই নিষিদ্ধ করেনি ইসলাম। শরীর ও মনে প্রশান্তি আনতে, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং জীবনের ভারসাম্য রক্ষায় ইসলাম খেলাধুলাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে তা হতে হবে নির্দিষ্ট শর্ত ও সীমারেখার ভেতর। কারণ মুমিনজীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। ক্ষণিক আনন্দের আড়ালে যেন আখেরাতের পুঁজি নষ্ট না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা অবশ্য কর্তব্য।

ইসলামে পছন্দনীয় খেলা: ইসলাম শুধুমাত্র চিত্তবিনোদনের জন্য নয়, বরং উপকার ও শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে কিছু খেলাকে পছন্দ করেছে। যেমন তীরন্দাজি, অশ্বারোহণ, সাঁতার শেখা বা শেখানো, স্ত্রীর সঙ্গে হালকা খেলাধুলা করা এবং দৌড় প্রতিযোগিতা। 

হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি জিনিস ছাড়া আল্লাহকে স্মরণ করার সঙ্গে সম্পর্কহীন সব কিছুই অনর্থক খেলতামাশা। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে খেলাধুলা করা, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, লক্ষ্যভেদ শেখা এবং সাঁতার শেখা।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৮৯৩৯) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় খেলা হলো অশ্বচালনা ও তীরন্দাজি।’ (ইবনে আদি: ৬/১৭৬)

এছাড়া দৌড় প্রতিযোগিতাও ইসলামে পছন্দনীয়। নবী করিম (সা.) নিজেই হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন, যা বৈধ খেলাধুলার প্রতি নবীজির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।

খেলাধুলার শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি: কিছু খেলাকে ইসলাম সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে যেমন জুয়া, পাশা, দাবা, মোরগ বা ষাঁড়ের লড়াই, কবুতরবাজি ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া অন্যান্য খেলাধুলার বৈধতা নির্ভর করে কিছু শরয়ি নীতিমালার ওপর। যথা

১. উদ্দেশ্যহীন ও সময়নষ্টকারী খেলা বৈধ নয়। কারণ এতে জীবনের মহামূল্যবান সময় নষ্ট হয়।
২. যেসব খেলা ফরজ বা ওয়াজিব আমল থেকে উদাসীনতা সৃষ্টি করে, সেগুলো হারাম। ইমাম বুখারি (রহ.) বলেছেন, ‘যে খেলা আল্লাহর আনুগত্যে উদাসীনতা আনে, তা নাজায়েজ।’ (সহিহ বুখারি)
৩. সতর খোলা রাখা, নারী-পুরুষের অবাধ মিশ্রণ, গান-বাজনা, জুয়াবাজি প্রভৃতি হারাম বিষয় যুক্ত খেলাও নিষিদ্ধ।
৪. অতিরিক্ত সময় ব্যয়কারী খেলা, যা পড়াশোনা, কাজ বা দায়িত্বে ব্যাঘাত ঘটায়, তা অপছন্দনীয় (মাকরূহ)। মুমিনজীবনের প্রতি মুহূর্ত সময় আমানতের অন্তর্ভুক্ত, এজন্য খেলাধুলা বিনোদনের উদ্দেশ্যে বৈধ হলেও তাকে জীবনের লক্ষ্য বানানো যাবে না।
৫. তীব্র আঘাত, অঙ্গহানি বা প্রাণনাশের আশঙ্কাযুক্ত খেলা শরিয়তসম্মত নয়।

অতএব যদি কোনো খেলা এসব নিষিদ্ধ বিষয়ের বাইরে থাকে এবং তাতে দ্বীনি বা দুনিয়াবি উপকার পাওয়া যায়, তবে তা জায়েজ। ইসলাম খেলাধুলাকে নয়, বরং সীমালঙ্ঘনকে নিষিদ্ধ করেছে। তাই খেলাধুলা হোক আনন্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তবে তা যেন আল্লাহর সীমা লঙ্ঘনের কারণ না হয়।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  খেলাধুলা   ইসলাম   শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

‎ফুলবাড়ীতে ৭৫ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক
সালথায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল শিক্ষক নিহত
সাভারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মিঠু বিশ্বাস গ্রেফতার
তরুণ গ্রাহকদের মাঝে রুপালী ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণ
প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

সর্বাধিক পঠিত

বাঞ্ছারামপুরে মৌসুমি পাখির কাছে বিএনপির ঘাঁটি ছেড়ে দেয়া হবে না
শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, আতঙ্কে বাসিন্দারা
ভোট টানতে বিশেষ কৌশলে জামায়াত
কাউনিয়ায় শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ষড়যন্ত্রে দগ্ধ দেশ

ধর্ম- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close