বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: আন্দোলনরত শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা      রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসিকে তফসিল দেওয়ার আহ্বান নাহিদের      খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা      অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা      প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে      এভারকেয়ারের পাশে সেনা-বিমান বাহিনীর মহড়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ      শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর      
ধর্ম
খেলাধুলা সম্পর্কে যা বলে ইসলাম
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
প্রকাশ: রোববার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২১ এএম

বিনোদন ও শরীরচর্চা মানবজীবনের একান্ত প্রয়োজনীয় বস্তু। সুস্থ দেহ ও প্রশান্ত মন সফল জীবনের ভিত্তি। বিনোদন বা খেলাধুলাকে তাই নিষিদ্ধ করেনি ইসলাম। শরীর ও মনে প্রশান্তি আনতে, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং জীবনের ভারসাম্য রক্ষায় ইসলাম খেলাধুলাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে তা হতে হবে নির্দিষ্ট শর্ত ও সীমারেখার ভেতর। কারণ মুমিনজীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। ক্ষণিক আনন্দের আড়ালে যেন আখেরাতের পুঁজি নষ্ট না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা অবশ্য কর্তব্য।

ইসলামে পছন্দনীয় খেলা: ইসলাম শুধুমাত্র চিত্তবিনোদনের জন্য নয়, বরং উপকার ও শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে কিছু খেলাকে পছন্দ করেছে। যেমন তীরন্দাজি, অশ্বারোহণ, সাঁতার শেখা বা শেখানো, স্ত্রীর সঙ্গে হালকা খেলাধুলা করা এবং দৌড় প্রতিযোগিতা। 

হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি জিনিস ছাড়া আল্লাহকে স্মরণ করার সঙ্গে সম্পর্কহীন সব কিছুই অনর্থক খেলতামাশা। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে খেলাধুলা করা, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, লক্ষ্যভেদ শেখা এবং সাঁতার শেখা।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৮৯৩৯) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় খেলা হলো অশ্বচালনা ও তীরন্দাজি।’ (ইবনে আদি: ৬/১৭৬)

এছাড়া দৌড় প্রতিযোগিতাও ইসলামে পছন্দনীয়। নবী করিম (সা.) নিজেই হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন, যা বৈধ খেলাধুলার প্রতি নবীজির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।

খেলাধুলার শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি: কিছু খেলাকে ইসলাম সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে যেমন জুয়া, পাশা, দাবা, মোরগ বা ষাঁড়ের লড়াই, কবুতরবাজি ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া অন্যান্য খেলাধুলার বৈধতা নির্ভর করে কিছু শরয়ি নীতিমালার ওপর। যথা

১. উদ্দেশ্যহীন ও সময়নষ্টকারী খেলা বৈধ নয়। কারণ এতে জীবনের মহামূল্যবান সময় নষ্ট হয়।
২. যেসব খেলা ফরজ বা ওয়াজিব আমল থেকে উদাসীনতা সৃষ্টি করে, সেগুলো হারাম। ইমাম বুখারি (রহ.) বলেছেন, ‘যে খেলা আল্লাহর আনুগত্যে উদাসীনতা আনে, তা নাজায়েজ।’ (সহিহ বুখারি)
৩. সতর খোলা রাখা, নারী-পুরুষের অবাধ মিশ্রণ, গান-বাজনা, জুয়াবাজি প্রভৃতি হারাম বিষয় যুক্ত খেলাও নিষিদ্ধ।
৪. অতিরিক্ত সময় ব্যয়কারী খেলা, যা পড়াশোনা, কাজ বা দায়িত্বে ব্যাঘাত ঘটায়, তা অপছন্দনীয় (মাকরূহ)। মুমিনজীবনের প্রতি মুহূর্ত সময় আমানতের অন্তর্ভুক্ত, এজন্য খেলাধুলা বিনোদনের উদ্দেশ্যে বৈধ হলেও তাকে জীবনের লক্ষ্য বানানো যাবে না।
৫. তীব্র আঘাত, অঙ্গহানি বা প্রাণনাশের আশঙ্কাযুক্ত খেলা শরিয়তসম্মত নয়।

অতএব যদি কোনো খেলা এসব নিষিদ্ধ বিষয়ের বাইরে থাকে এবং তাতে দ্বীনি বা দুনিয়াবি উপকার পাওয়া যায়, তবে তা জায়েজ। ইসলাম খেলাধুলাকে নয়, বরং সীমালঙ্ঘনকে নিষিদ্ধ করেছে। তাই খেলাধুলা হোক আনন্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তবে তা যেন আল্লাহর সীমা লঙ্ঘনের কারণ না হয়।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  খেলাধুলা   ইসলাম   শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

হামজা-শমিতদের ম্যাচ থেকে ৪ কোটির বেশি আয় বাফুফের
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দশমিনায় মৎস্য মেরিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে প্রার্থনা সভা
সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরসি'র আত্মপ্রকাশ
ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
বিএনপি নেতার পুকুরে বিষপ্রয়োগ

ধর্ম- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close