বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে—তারা কী পছন্দ করবে, কী গ্রহণ করবে। ছাত্রশিবির কাউকে জোর করে না, বরং পথ দেখায়, অনুপ্রেরণা দেয়।”
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখা ও শহর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, “দেশপ্রেম মানে কেবল মুখের কথা নয়। প্রকৃত দেশপ্রেমিকরা কখনো লুটপাট, অন্যায় বা নির্যাতনের সাথে যুক্ত হতে পারে না। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন মানুষ তৈরি করে যারা ন্যায় ও আদর্শের পথে দেশকে এগিয়ে নেয়।”
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শিবিরে যোগ দেওয়া কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে সংগঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়াশোনা করতে পারেন। শিক্ষক ও অভিভাবকদের পরামর্শ শুনে নিজের ভবিষ্যৎ গড়াই হবে শিক্ষার্থীর মূল দায়িত্ব।”
নারী বিষয়ক প্রসঙ্গে শিবির সভাপতি বলেন, “ছাত্রশিবিরকে নারীবিদ্বেষী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইসলাম যেমন নারীদের মর্যাদা দিয়েছে, শিবিরও নারী শিক্ষার্থী ও বোনদের সর্বোচ্চ সম্মান ও সহযোগিতা দেয়।”
“ইসলামী ছাত্রশিবির কেবল মুসলমানদের নয়, বরং সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। হিন্দু ভাই-বোনদের প্রতিও আমাদের সমান সহমর্মিতা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শিবির শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাশেম, শিবিরের স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ইরফান হাসান সাকিব, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম, সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, শহর সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শানজিন নাহার শুভা ও তাসনিম আলম।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মো. মিয়ারাজ হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. শাহিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএ