ব্যর্থতা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলামে ব্যর্থতাকে অনেক সময় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পরিক্ষা হিসেবে দেখা হয় যা আমাদের ধৈর্য, ঈমান ও দৃঢ়তাকে যাচাই করার জন্য আসে। প্রতিটি ব্যর্থতার পেছনে আল্লাহর একটি বিশেষ হেকমত ও কল্যাণ লুকিয়ে থাকে।
আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট” (সুরা তালাক:৩)।
ব্যর্থতায় করণীয়-
ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া। ব্যর্থ হওয়ার পর প্রথম কাজ হলো ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। হতাশ না হয়ে নিজের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। কী কারণে কাজটি সফল হয়নি, তা বোঝার চেষ্টা করা প্রয়োজন। তারপর সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজা।
এ সময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ব্যর্থতাকে সোপান হিসেবে ব্যবহার করে দৃঢ় মনোবল নিয়ে আবার নতুন করে শুরু করা।
ব্যর্থতা থেকে উত্তরণের উপায়-
যদি ব্যর্থতার কারণ নিজস্ব ভুল হয়, তবে আন্তরিকভাবে তাওবা করা ও সংশোধনের মাধ্যমে মুক্তি খোঁজা। আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করতে হবে, কারণ ধৈর্য একটি আধ্যাত্মিক গুণ যা আল্লাহর ওপর নির্ভরতার মাধ্যমে অর্জিত হয়। ব্যর্থতায় আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ সমর্পণ ও আস্থা রেখে কাজ করে যাওয়া।
তাই কখনো ব্যর্থতার মুখোমুখি হলে মুমিনদের হতাশ না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে, ধৈর্য ধরতে এবং তাওবা ও সংশোধনের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, প্রতিটি ব্যর্থতার পেছনে আল্লাহর কোনো কল্যাণ থাকে।
কেকে/ এমএস