প্রশাসনের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোও একটি বড় দায়িত্ব। এই কথাটির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি একজন মানবিক, সংবেদনশীল ও কর্মঠ প্রশাসক হিসেবে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার এক অনুষ্ঠানে ইউএনও লায়লার সঙ্গে পরিচয় হয় শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও অদম্য মনোবলের অধিকারী সাইফুল ইসলামের। শারীরিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সাইফুল নিজের জীবনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রতিবন্ধী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনুপ্রেরণার আলো ছড়াচ্ছেন। তবে বর্ষাকালে কর্দমাক্ত উঠান পেরিয়ে হুইলচেয়ারে চলাচল তার জন্য ছিল এক দৈনন্দিন সংগ্রাম। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। বড়াইগ্রাম পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও তিনি দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে সাইফুলের বাড়ির সামনে একটি রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন—যা একজন দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল প্রশাসকের প্রতি মানুষের আস্থা আরও গভীর করেছে।
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রতিটি মানুষের সমানভাবে বাঁচার অধিকার আছে। সাইফুলের মতো মানুষের পাশে আমরা যদি দাঁড়াই, তাহলে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সমাজ তখনই সুন্দর হবে, যখন আমরা একে অপরের জন্য কাজ করবো।
তার এই মানবিক পদক্ষেপ স্থানীয় মানুষের মধ্যে গভীর প্রশংসার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ভাষায়—প্রশাসনে যদি এমন সংবেদনশীল, সৎ ও মানবিক কর্মকর্তা থাকেন, তাহলে সমাজ এগিয়ে যেতেই বাধ্য।
প্রতিবন্ধী সাইফুল ইসলাম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমি কখনও ভাবিনি আমার ছোট্ট আবেদন এত দ্রুত পূরণ হবে। ইউএনও ম্যাডাম শুধু একজন কর্মকর্তা নন—তিনি একজন অভিভাবক।
এর আগেও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক উদ্যোগের নজির স্থাপন করেছেন। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি মাঠে নেমে মানুষের পাশে থেকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন—যা একজন আদর্শ প্রশাসকের অনন্য উদাহরণ।
স্থানীয়দের মতে, লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস শুধু একজন প্রশাসক নন, তিনি একজন আশার বাতিঘর। তাঁর মতো কর্মঠ ও মানবিক নেতৃত্ব সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দরজা খুলে দেয়।
কেকে/ এমএস