বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ      ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’      নির্বাচনে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী : ইসি সচিব      ৪৫তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, সুপারিশ পেলেন ৫৪৫ জন      বন বিভাগে সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দাম্ভিকতা      ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষি অর্থনীতি টেকসই হবে : কৃষি সচিব      ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা      
ধর্ম
ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
খোলা কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম

ইসলাম ধর্মে খলিফা হলেন খেলাফত নামক ইসলামী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা, যিনি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উত্তরসূরি হিসেবে মুসলিম উম্মাহকে নেতৃত্ব দেন। নবীজির মৃত্যুর পর মদীনায় খিলাফত ব্যবস্থা শুরু হয় এবং আবু বকর (রা.) কে প্রথম খলিফা হিসেবে মনোনীত করা হয়। তিনি ছিলেন মুসলিম বিশ্বের প্রথম খলিফা।

হযরত মুহাম্মদ (স.) এর প্রিয় সাহাবি ছিলেন হযরত আবু বকর (রা.)। তিনি আশারাতুল মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া ইসলামের প্রথম মুসলিম পুরুষ হিসেবে পরিচিত তিনি। হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর শ্বশুর তিনি। মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাল্য নাম ছিল আবদুল্লাহ্, আবু বকর ছিল তার ডাক নাম। 

ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি সিদ্দীক (সত্যবাদী) এবং আতিক (দানশীল) খেতাব লাভ করেছিলেন। আবু বকরের পিতার নাম ছিল ওসমান, কিন্তু ইতিহাসে তিনি আবু কুহাফা নামেই সুপরিচিত ছিলেন। তার মাতার নাম ছিল উম্মুল খায়ের সালমা। আবু বকরের মাতাপিতা উভয়েই বিখ্যাত কুরাইশ বংশের তায়িম গোত্রের লোক ছিলেন। তার মা প্রথমদিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং পিতা হিজরীর অষ্টম বছরে ইসলামে দীক্ষিত হন।

জন্ম: ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দ, মক্কা, আরব দ্বীপ।

মৃত্যু: ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ, মদিনা।

স্ত্রী: কুতাইলা বিনতে আব্দুল উজ্জা(তালাকপ্রাপ্ত)। উম্মে রুমান, আসমা বিনতে উমাইস, হাবিবা বিনতে খারিজা।

সন্তান:
*আব্দুল্লাহ ইবনে আবি বকর
*আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর
*মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর

★আসমা বিনতে আবি বকর
★আয়েশা (রা:)
★উম্মে কুলসুম বিনতে আবি বকর।

পূর্ণ নাম: আব্দুল্লাহ বিন আবি কুহাফা।আবু বকর নামে পরিচিত।

পিতা ও মাতা: উসমান আবু কুহাফা ও সালমা উম্মুল খাইর।

বংশ: সিদ্দিকি।

হযরত আবু বকর (রা.) স্ত্রী কুতাইলা বিনতে আবদুল উজ্জা ইসলাম গ্রহণ করেন নি। আবু বকর তাকে তালাক দিয়েছিলেন। তার অন্য স্ত্রী উম্ম রুমান ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ছেলে আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর ছাড়া অন্য সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ফলে আবু বকর (রা.) সাথে তার বিচ্ছেদ ঘটে। আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর পরবর্তীকালে মুসলিম হয়েছিলেন।

আবু বকর (রা.) ইসলাম গ্রহণ অনেককে ইসলাম গ্রহণে অণুপ্রাণিত করেছে। তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ইসলাম গ্রহণে উৎসাহ দিয়েছিলেন। তার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে অনেকে গ্রহণ করেছিলেন।

হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকার নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। মুহাজির ও আনসাররা নিজেদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচনের পক্ষে ছিল। কিছু গোত্র পুরনো প্রথা অনুযায়ী গোত্রভিত্তিক নেতৃত্ব ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়। আনসাররা সাকিফা নামক স্থানে একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। এরপর আবু বকর, উমর ও আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ এখানে আসেন। সভার আলোচনায় এক পর্যায়ে উমর ইবনুল খাত্তাব আবু বকর (রা.)  প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহও তার অনুসরণ করেন। এরপর বাকিরাও আবু বকর (রা.) নেতা হিসেবে মেনে নেয়। সুন্নিরা তাকে ‘খলিফাতুর রাসুল’ বা ‘আল্লাহর রাসুলের উত্তরাধিকারী’ বলে সম্মান করে থাকে। তবে শিয়ারা আবু বকরকে বৈধ খলিফা বলে স্বীকার করে না। শিয়া মতাদর্শ অনুযায়ী আলি ইবনে আবি তালিব প্রথম খলিফা হিসেবে যোগ্য।

আবু বকর (রা.) ছিলেন ইসলামের এক জলন্ত নক্ষত্র । তার শাসনামলে ইসলাম ও জনগনের জন্য তিনি যুদ্ধও করেছেন। আবু বকর (রা.) খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবেলা করেন। নতুন নবী দাবিকারী বিদ্রোহীদেরকে তিনি রিদ্ধার যুদ্ধে দমন করেছেন। তিনি বাইজেন্টাইন ও সাসনীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন যা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পরে উমর ইবনুল খাত্তাব ও উসমান ইবনে আফফান এই অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন। এসব অভিযানের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য কয়েক দশকের মধ্যে শক্তিশালী হিসেবে আবির্ভূত হয়। খলিফা হওয়ার পর তিনি অন্যান্যদের পরামর্শক্রমে তার কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে দেন এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ভাতা গ্রহণ করতেন।

এই মহান খলিফা শুধু জীবিত অবস্হায় নয় মৃত্যুর পরেও সকলের চোখের মনি ছিলেন। ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি বিছানায় শায়িতাবস্থায় থাকেন। আবু বকর তার উত্তরসূরি মনোনীত করার জন্য প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন যাতে তার মৃত্যুর পর মুসলিমদের মধ্যে সমস্যা দেখা না দেয়। অন্যান্য সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করে তিনি উমর ইবনুল খাত্তাবকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে তিনি মৃত্যুবরণ করলে হযরত আয়েশার (রা.) ঘরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পাশে তাকে দাফন করা হয়। ইসলামের এই প্রথম খলিফা চির স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় রয়েছেন।

কেকে/ এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ
তরুণ, যুব ও মেধাবী ছাত্র সমাজকে রক্ষায় সুস্থ সংস্কৃতি জরুরি: রায়হান সিরাজী
৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’
চালাক ছাত্রী

সর্বাধিক পঠিত

নাগেশ্বরীতে ১০ টাকার স্বাস্থ্য সেবা চালু
চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা রয়েছে: তানভীর হুদা
দুই ট্রলারসহ সেন্টমার্টিনে ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
গাজীপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ডসে সম্মাননা পেল রাজউক

ধর্ম- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close