জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেছেন, “আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবান করতে এ সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, ‘বিএনপি দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এ দলে নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিযোগিতা যেন কোনোভাবেই কোন্দলে পরিণত না হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে ভিন্নমত থাকতে পারে, মতের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, কিন্তু সেটা দল ভাঙার জন্য নয় বরং দলকে শক্তিশালী করার জন্য। দলের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করলে সেটা আন্দোলনকে দুর্বল করবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে রশিদ আহমেদ বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে ধানের শীষ প্রতীক দেবেন, নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবেন। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য না দিয়ে দলের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখতে হবে।’
গত ১৬ বছরের দমন-পীড়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মতো লাকসাম-মনোহরগঞ্জের বিএনপির নেতা-কর্মীরাও ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কারও ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, কেউ জেল-জুলুম ভোগ করেছেন, কেউ আবার পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এসব ত্যাগ স্বীকার করা কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের ত্যাগ দলের জন্য সম্পদ। যারা এত দিন নির্যাতিত হয়েছেন, আন্দোলন টিকিয়ে রেখেছেন তাদের অবহেলা করা যাবে না।’
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রতি ইঙ্গিত করে রশিদ আহমেদ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আমার পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে- এমনকি মঞ্চ ভাঙচুর করা হচ্ছে। যারা এসব করছে, তারা প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী নয়। তারা সুবিধাবাদী, স্বার্থপর ও দলেল ভেতরের স্বৈরাচারী মানসিকতার দোসর। এরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছে। তাই, নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা অপরিহার্য। আন্দোলন তখনই সফল হবে, যখন ত্যাগী কর্মীরা মূল্যায়িত হবে এবং সুবিধাবাদীরা দূরে সরে যাবে।’
রশিদ আহমেদ হোসাইনীর মতে, এই সম্মেলন শুধু একটি সাংগঠনিক আয়োজন নয়; বরং এটি আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার এক নতুন সূচনা।
কেকে/ এমএ