ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটের তলা ফেটে দুর্গা রানী রায় নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাট থেকে ঢাকার দোহার উপজেলার চরমঈনূট ঘাটে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত দুর্গা রানী রায় চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বিমল রায়ের স্ত্রী।
জানা যায়, দুর্ঘটনায় নিহত দুর্গা রানী তার ছেলে লিটন রায়, ছেলের স্ত্রী গীতা রায় ও নাতিকে নিয়ে ওই স্পিডবোটে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে তার তিন বছরের নাতি লক্ষণ রায় রয়েছে। আহত অন্য একজনের নাম মারিয়া। তিনি চরভদ্রাসন সদরের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের আবু দাউদের স্ত্রী। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত অন্যান্যরা চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাসুদ আলম নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পদ্মা নদী পারাপারের সময় স্পিডবোট সাধারণত ১২ জন যাত্রী নেওয়ার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনাকবলিত স্পিটবোটে ১৮ জন যাত্রী নেওয়া হয়েছিল। বোটটি দোহার এলাকার মঈনূট ঘাটে পৌঁছানোর আগে নদীর স্রোত এবং ঢেউয়ের কারণে তলা ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ননী গোপাল হালদার বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতালে একজন নিহত ও আহত আটজনকে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে আহত মারিয়ার শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘনাস্থলটি ঢাকার দোহার উপজেলার মধ্যে পড়েছে। সংবাদ পাওয়ার পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
কেকে/ আরআই