ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের মাঝিকাড়ায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে সমাপ্ত হয়। নির্মাণ কাজ সমাপ্তের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তালাবদ্ধ তিন তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন এ ভবন। এই কমপ্লেক্সের মধ্যেই নবীনগরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতি ফলকও নির্মিত হয়।
জানা যায়, ভবনটির ১ম তলায় মার্কেট ও ২য় তলায় অফিসের জন্য ৬টি কক্ষ এবং তৃতীয় তলায় একটি সন্মেলন কক্ষ রয়েছে। ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ৬৪ জেলার ৪২১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ১হাজার ১৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৫ সালের জুনে এই ভবন গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ভবনের নির্মাণে খরচ হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে সারা দেশে ৩৪টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স একসাথে উদ্বোধনের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা হয়নি। এদিকে পৌর ভবন সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা অফিসে স্থান সংকুলান ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অথচ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স ভবনটি তালাবদ্ধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ব্যহার না করায় ভবনটির জানালার কাঁচ ভাঙা। নিচ তলায় দোকানের সার্টার ভাঙা, কোথাও বৃষ্টির পানি জমে আছে। একমাত্র নলকূপটিও চুরি হয়ে গেছে। মূল গেইট না থাকায় যে কেউ অবাধে চলাচল করতে পারে এখানে।
এদিকে নীতিমালা অনুযায়ী এই ভবনের ভাড়া বাবদ আয় থেকে শতকরা ১৫% ব্যয় হবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে, বাকি ৮৫% জমা হবে সরকারি কোষাগারে। উদ্বোধনে বিলম্ব হওয়ায় ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার (সাবেক) সামসুল আলম বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ভবন বুঝে পাওয়ার দাবী জানালে তিনি জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অচিরেই ভবন বুঝিয়ে দিবে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী বলেন, ভবনটি সংস্কারের পর শীঘ্রই উদ্বোধনের করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি এসেছে , দ্রুত তা করা হবে।
কেকে/ আরআই