রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২২ বিভাগের সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী প্রায় ৪৭০ জন শিক্ষার্থীকে একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে বেরোবি শিক্ষার্থী সংসদ কর্তৃক এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আয়োজন সম্পর্কে বেরোবি শিক্ষার্থী সংসদের সভাপতি আহমাদুল হক আলবির বলেন, বেরোবি শিক্ষার্থী সংসদের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করা। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, তাদের অধিকার এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে যতগুলো কাজ করা যায় তা করবো। আমাদের অনেক গুলো কাজের মধ্যে অন্যতম একটি হলো আজকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পারফরম্যান্সের কারণে তাদেরকে যেভাবে মূল্যায়ন করা দরকার আমাদের সীমিত সামর্থ্যের আলোকে আজকে আমাদের এই সংক্ষিপ্ত আয়োজন। আমাদের ইচ্ছে আছে এ ধরনের আয়োজন আগামীতেও করবো। আমাদের সামর্থ্যের আলোকে ইনশাআল্লাহ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমাদের এই প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টের ১৩-১৬তম ব্যাচের সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন। আজকে এখানে প্রায় ৪৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
আয়োজক আব্দুল আজিজ বলেন, যারা একাডেমিক ফলাফল ভালো করছে তাদেরকে উৎসাহিত করা, মোটিভেশান করার জন্য আজকের আয়োজন। একাডেমিক ফলাফল তো শুধু একটা মাধ্যম কিন্তু এটির মাধ্যমে মোটিভেশান হয়ে ভবিষ্যতে যেনো আরও ভালো কিছু করতে পারে আমরা তা চাই। বেরোবি শিক্ষার্থী সংসদ কর্তৃক শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা, তাদের মেধাকে বিকশিত করা আমাদের লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনা, জ্ঞান-দর্শনকে আরও বেশি প্রবল করার জন্যই আজকের এই আয়োজনের বিকল্প নেই। আবার যারা ভালো সিজিপিএ করতে পারে নাই তারা এ ধরনের আয়োজন দেখে উৎসাহিত হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুশাইদ আহমেদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। বিশেষ করে এখানে বিভিন্ন আলোচকরা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছেন, জীবনের নানা আঙ্গিক ঘিরে, জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কথা বলছেন। এটা আসলেই একটা ইতিবাচক পরিবর্তন। বেরোবি শিক্ষার্থী সংসদ শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করে যেরকম অনুপ্রাণিত করছে। এই সংগঠনের পাশাপাশি আর যেসব সংগঠন আছে তারাও এরকম শিক্ষার্থীর বান্ধব কাজ করুক আমি এটাই প্রত্যাশা করি।
জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাসকিন বলেন, বেরোবি শিক্ষার্থী সংসদকে ধন্যবাদ জানাই এ ধরনের শিক্ষার্থীবান্ধব আয়োজন করার জন্য। বেরোবির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সংগঠন একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করলেন। আজকের এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমি সত্যি অনেক আনন্দিত। এ ধরনের অনুষ্ঠান ভবিষ্যতে আরও হলে আমরা শিক্ষার্থীরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবো পড়াশোনার ক্ষেত্রে এবং আমাদের স্বপ্নের দিকে ধাবিত হতে। এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি হওয়া উচিৎ, এ ধরনের পদক্ষেপ আরও নেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। আজকের অনুষ্ঠানটি সত্যি অসাধারণ ছিল।
কেকে/ আরআই