সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
প্রিয় ক্যাম্পাস
বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় রাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. মুছা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

বাংলাদেশের তরুণ গবেষক ড. আবু সালেহ মুছা মিয়া বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ারের তথ্যভাণ্ডার অনুযায়ী শুক্রবার প্রকাশিত তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ড. মুছা গবেষণা যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার সময়। এ সময় তিনি গবেষণার প্রাথমিক দীক্ষা নেন ড. মো. রোকনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে। পরে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি কাজ করেন ড. মো. খায়দেমুল ইসলাম মোল্লার অধীনে এবং গবেষণার নানা বিষয়ে আলোচনা ও দিকনির্দেশনা পান ড. মো. রবিউল ইসলামের কাছ থেকে।

তাঁর গবেষণা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল ২০১৭ সালে জাপানের শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আইএএ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ। এই সুযোগটি করে দিয়েছিলেন ড. মো. একরামুল হামিদ, যিনি তাঁর স্নাতকোত্তর গবেষণাকে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপনের পথ উন্মুক্ত করেছিলেন।

ড. মুসা পরবর্তীতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন জাপানের ইউনিভার্সিটি অব আইজু থেকে প্রফেসর জংপিল শিন এর তত্ত্বাবধানে। এ সময় তিনি সহযোগিতা ও পরামর্শ পান প্রফেসর ড. মো. আল মেহেদী হাসান (রুয়েট), ড. রাশেদুল ইসলাম এবং ড. মো. আবদুর রহিম এর কাছ থেকে।

তিনি ৩ বছর ৬ মাস বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিএইউএসটি) শিক্ষকতা করেছেন। পরে ২০২৫ সালের ১২ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক হিসেবে যোগদন করেছেন। বর্তমানে তিনি শিক্ষা ছুটিতে ইউনিভার্সিটি অব আইজুতে পোস্টডক্টরাল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাঁর গবেষণার অর্থায়ন করছে জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমইএক্সটি স্কলারশিপ এবং ইউনিভার্সিটি অব আইজুর পাবলিক ইউনিভার্সিটি কর্পোরেশন।

তিনি শিক্ষাজীবনে দাখিল সম্পন্ন করেছেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জাফরপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবং আলিম সম্পন্ন করেছেন রংপুরের ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মোকাররম মডেল কামিল মাদ্রাসা থেকে।

ড. আবু সালেহ মুছা মিয়া তার এই অর্জনের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার শিক্ষক, সহকর্মী, গবেষণা সহযোগী ও পরিবারের প্রতি। তিনি বলেন, এটি আমার জীবনের একটি বড় অর্জন। আমি চাই ভবিষ্যতেও গবেষণার মাধ্যমে সমাজ ও বিশ্বের কল্যাণে অবদান রাখতে।

ড. আবু সালেহ মুছা মিয়ার বাবা হাফেজ ক্বারী মো. আব্দুস সামাদ অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, মুছা অত্যন্ত সহজ-সরল ছেলে। শুরুতে ভাবতেই পারিনি, সে এতদূর যেতে পারবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ারের তথ্যভাণ্ডারে প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় আমার ছেলের নাম এসেছে। এতে আমি, আমার পরিবার, এলাকাবাসী ও উপজেলাবাসী গর্বিত আলহামদুলিল্লাহ। আমি চাই, তার মেধা দেশের মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজে লাগুক।

প্রথম গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ড. আবু সালেহ মুছা মিয়ার এ অর্জনে স্বাভাবিকভাবেই আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে নাম কুড়িয়ে এগিয়ে যাক। আমরা যে সীমিত সুযোগ-সুবিধা দিতে পেরেছি, সেই সামান্য সুবিধা নিয়েই তারা গবেষণার কাজ করেছে। সেই সুযোগ-সুবিধা থেকেও যদি আমরা একজন ভালো শিক্ষার্থী তৈরি করতে পারি, সেটাই আমাদের বড় পাওয়া। তাদের এই অর্জন বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। তারা বিভাগের সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারবে।

ইউনিভার্সিটি অব আইজুর প্রফেসর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রখ্যাত গবেষক প্রফেসর জংপিল শিন তাঁর প্রাক্তন পিএইচডি শিক্ষার্থী ড. আবু সালেহ মুছা মিয়ার সাফল্যের প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ল্যাবরেটরিতে মূলত প্যাটার্ন রিকগনিশন নিয়ে কাজ করি, বিশেষ করে মানব ক্রিয়াকলাপ শনাক্তকরণ এবং তা পারকিনসন ও আলঝেইমারের মতো রোগে প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দিই। আমার প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে পোস্টডক্টরাল গবেষক ড. আবু সালেহ মুছা মিয়া অসাধারণ নিষ্ঠা ও গবেষণা প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় (এলসেভিয়ার ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যাচাইকৃত) তাঁর নাম উঠে আসা নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয় এবং তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি।

তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস (নেচার), আইইইই অ্যাক্সেসসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে গবেষণা প্রকাশ করেছি এবং আইইইই, স্প্রিঙ্গার ও এসিএম আয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনগুলোতেও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তাঁর গবেষণা ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

কেকে/ আরআই
আরও সংবাদ   বিষয়:  রাবি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

প্রিয় ক্যাম্পাস- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close