শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে ইউএই ভিসা অনলাইন ডট কম।
ইউএই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সার্কুলার অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকরা বর্তমানে ইউএই টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
নিষিদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে:
বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা।
ইউএই সরকার এ ভিসা নিষেধাজ্ঞার পেছনে বিস্তারিত কোনো কারণ প্রকাশ করেনি। তবে, একাধিক সূত্রের মতে এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
১. সন্ত্রাসবাদ বা অবৈধ কার্যকলাপের মতো সম্ভাব্য হুমকি থেকে ইউএই-র নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
২. উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে অন্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উত্তেজনা।
৩. কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং কঠোর প্রবেশ প্রোটোকল প্রয়োগ।
ইউএই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী এবং নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মূল্যায়নের ভিত্তিতে এটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইউএই-র কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। যেমন- বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফ্রিকান দেশগুলোর প্রবাসীরা ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন এবং নতুন চাকরির জন্য আবেদনে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইউএই এবং নিষিদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা ও পর্যটন সম্পর্ক মন্দা হয়েছে। তবে, যারা ইতোমধ্যে বৈধ ভিসা নিয়ে ইউএই-তে বসবাস করছেন, তারা এ নিষেধাজ্ঞার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন না এবং আইনি কাজ বা বসবাস চালিয়ে যেতে পারছেন।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে নিষিদ্ধ দেশগুলোর নাগরিকরা নিম্নলিখিত সুযোগ পাবেন:
স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ইউএই টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউএই-তে কোম্পানিগুলোতে আইনি যোগদানের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবেন।
ইউএই ভিসা অনলাইন পোর্টাল, দূতাবাস বা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অফিসিয়াল চ্যানেল ব্যবহার করে প্রবেশ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৬-এ ইউএই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বর্তমানে ৯টি দেশ রয়েছে, যারা ইউএই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছে না। ইউএই সরকারের আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা কবে উঠবে তা নিশ্চিত করেনি, তবে এটি অস্থায়ী বলে বিবেচিত। বৈধ ভিসা নিয়ে ইউএই-তে বসবাসরত নাগরিকরা এতে প্রভাবিত হচ্ছেন না।
কেকে/ এমএস