ফরিদপুরের ভাঙ্গা আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে তিন দিনের চলমান মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ তুলে নিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাড়ে ৫টায় তারা অবরোধ তুলে নেন। তবে তারা আগামীকাল মঙ্গলবারও একই দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, রোববার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা ও বরিশাল মহাসড়কসহ ভাঙ্গার সাতটি স্থানে কাফনের কাপড় গায়ে জনতা সড়ক ও রেলপথ অবরোধে নেমে আসে। অবরোধকারীরা সকাল থেকে নকশিকাঁথা ট্রেন আটকে দেয় ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভাঙ্গা জংশনে দাঁড়িয়ে থাকে।
ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. এসকেন্দার মিয়া বলেন, আমাদের আগামীকালের (মঙ্গলবার) আন্দোলন চলবে। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানকে মুক্তি দিতে হবে। ওসি ও ভাঙ্গা সার্কেল এসপি এসে আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনার কথা জানিয়ে বলেছেন, এখনই আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। কিন্তু আমরা রাজি হইনি। আমরা জানিয়েছি, তাদের সম্মানে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাস্তা-রেলপথ থেকে আজকের মতো অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে আগামীকাল আবারও অবরোধ চলবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আজকের মতো অবরোধ শেষ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারপর থেকে যান চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকালও একই দাবিতে আন্দোলন করবেন।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, মানুষের ভোগান্তি এড়াতে ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়। একইসঙ্গে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। দাবি পূরণ না হওয়ায় রবিবার থেকে ফের টানা তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ শুরু হয়। ভাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে সকাল ৬টার পর থেকে পুখুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একযোগে অবরোধ চলে।
কেকে/এজে