ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, রোকেয়া হলে একজন শিক্ষার্থীকে সাদিক কায়েম ও ফরহাদের ক্রসচিহ্ন ব্যালট দেওয়া ছিল। যেটা বর্তমান নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে অসনি সংকেত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
একই অভিযোগ তুলে উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গা বলেন, ভোটার ভোট দিতে গিয়ে দেখেন আগেই পেপারে সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের ব্যালটে ‘ক্রস’। আর তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাসে।
জানা যায়, ভোট চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রার্থীর অভিযোগ, তার পরিচিত ভোটার লাবু রাখাইন বুথে গিয়ে ভোট দিতে গিয়ে দেখেন- সেখানে পূর্বেই সাদিক কায়েম এবং এস এম ফরহাদের পক্ষে ক্রস দেওয়া হয়ে গেছে। তিনি জানান, টিএসসি ভোটকেন্দ্রের টেবিল নম্বর ১-এ এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘অভিযোগের পর আমরা সবগুলো ব্যালট পেপার চেক করেছি। কোথাও এমন সমস্যা পাইনি। অভিযোগকারী ব্যালট পেপার হাতে নিয়েই এটি বলতে পারবেন। কিন্তু তিনি বুথে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে তারপর ফিরে এসেছেন। তাই এমন অভিযোগ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমরা তাকে একটি ফ্রেশ ব্যালট পেপার দিয়েছি।’
এই কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে জানিয়ে ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘আমাদের ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়ে গেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এটি করা হতে পারে। অথবা ওই শিক্ষার্থীই ভুল করেছে।’
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে।
কেকে/ এমএস