দৈনন্দিন জীবনের আমল বলতে বোঝায় প্রতিদিনের জীবনে পালনীয় বিভিন্ন সৎ কাজ, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এবং জীবনকে সুন্দর ও সহজ করতে সাহায্য করে। শুধু ফরজ আমলগুলো অনেক সময় যথেষ্ট না হতে পারে। তাই নফল ও অন্যান্য আমল করা জরুরী। কারণ, হাদিসে এসেছে- বান্দার ফরজ আমলে ঘাটতি দেখা দিলে নফল দিয়ে তা পূর্ণ করা হবে।
প্রতিদিনের আমল ও তার ফজিলত:
ইস্তেগফার:
প্রতিদিন ইস্তেগফার পাঠ করা। এটি আত্মার পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দরুদ পাঠ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ওপর দরুদ শরীফ পাঠ করা। এটি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি মাধ্যম এবং এর মাধ্যমে অনেক সওয়াব অর্জিত হয়।
জিকির-আজকার:
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার) এর মতো যিকির করা। এই যিকির কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য অনেক বড় সওয়াবের কারণ হবে।
কোরআন তেলাওয়াত:
প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করা। এটি আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের একটি অন্যতম উপায় এবং অনেক সওয়াব বয়ে আনে।
মাসনুন দোয়া পাঠ:
প্রতিদিন বিভিন্ন মাসনুন দোয়া (যেমন: আল্লাহুম্মা রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আজাবান্নার) পাঠ করা। এই দোয়াগুলো দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ নিয়ে আসে।
নফল নামাজ:
ফরজ নামাজের বাইরে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আওয়াবিনের মতো নফল নামাজ আদায় করা। নফল নামাজ ফরজ ইবাদতের ঘাটতি পূরণ করে এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে সাহায্য করে।
অন্যান্য আমল:
আজানের উত্তর দেওয়া: মনোযোগ সহকারে আজানের উত্তর দেওয়া মুমিনের কর্তব্য।
সালাম দেওয়া ও উত্তর দেওয়া: ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দেওয়া ও সালামের উত্তর দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
ঝগড়া পরিহার করা: সঠিক কথা বলার পরেও ঝগড়া পরিহার করা এবং ধৈর্য ধারণ করাও একটি উত্তম আমল।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দোয়া: ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল, নিয়মাল মাওলা ওয়া নিয়মান নাসির’ এই দোয়াটি যেকোনো সময় পাঠ করা যায় এবং এটি বিশেষ ফলদায়ী।
কেকে/ এমএস