বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন ভন্ডুল হলে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হবে, হানাহানি ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিপর্যস্ত হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটির মাসব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং যখন নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন বোঝা যায় পরিস্থিতি ভালো নয়। তিনি কারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় দেশবাসীকে সে ব্যাপারে সতর্ক করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দৃঢ়চিত্ত ভূমিকা থাকলেও রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে আস্থার মধ্যে নিতে পারলে কোন অপশক্তি নির্বাচন ভন্ডুল করতে পারবেনা। নানা দলীয় এজেন্ডা হাজির করে যারা দেশে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চান তারা আসলে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বিপদগ্রস্ত করে তুলছেন। এই পরিস্থিতি পুরনো ফ্যাসিবাদী জমানাকে ডেকে আনতে পারে।
সমাবেশে সাইফুল হক, আরপিও চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি নির্বাচনে জামানতের পরিমান ও নির্বাচনে ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে জাতীয় নির্বাচনে টাকার খেলা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
সমাবেশে তিনি ঢাকা মহানগরের অচলাবস্থায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বস্তুত অভিবাবকহীন অবস্থায় ঢাকা মহানগর চলছে। এই মহানগরীর কোন বাপ মা আছে বলে মনে হয়না। ঢাকা মহানগরীর এখন এতিমের দশা। এখানে নাগরিক সেবা বলে কিছু নেই। শহর দিনে বিষাক্ত হয়ে উঠছে এবং বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়ছে। মহানগর যেন আল্লার ওয়াস্তে চলছে। তিনি অনতিবিলম্বে মহানগরে নাগরিক সেবাসমূহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর রেজাউল আলম, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, ফিরোজ আলী, মহানগর কমিটির সদস্য জামাল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশের পর মহানগরীকে বাসযোগ্য ঢাকা মহানগর গড়ে তোলা ও এই মহানগরের আডাই কোটি মানুষের জরুরি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার দাবিতে তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা অঞ্চলে পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও ঢাকা মহানগরে জরুরি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার দশ দাবিতে এই সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
কেকে/ আরআই