প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। নিজেদের অবস্থান থেকে যথাসম্ভব শক্তিশালী প্যানেল ঘোষণার চেষ্টা করেছে সংগঠনগুলো। তবে ব্যাতিক্রম চিত্র দেখা গেছে হল সংসদ গুলোতে। হল সংসদের সকল পদে এখনো প্রার্থী দিতে পারেনি ছাত্রসংগঠনগুলো। জনবল ও প্রার্থীর সংকট, হল রাজনীতিতে অনীহাসহ বিভিন্ন কারণে কোনো সংগঠনই এসব হলে প্রার্থী দিতে পারেনি। এদিকে হলগুলোতে বেশিরভাগ প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি হলের মধ্যে ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল। এসব হলে নির্বাচনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি হলে ১৫টি করে পদ রয়েছে। হলগুলোতে সকল পদে প্রার্থী দিতে পারছে না ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বামপন্থী সংগঠনগুলো। কেন্দ্রীয় সংসদে প্যানেল ঘোষণা করেছে সকল সংগঠন। তবে হল গুলোতে সেই নামে কোন প্যানেল দেয়নি সংগঠনগুলো।
জানা যায়, ছাত্রদের কয়েকটি হলের কয়েকটি পদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ছাত্রীদের ১০টি হলের কোনো হলেই তাদের প্রার্থী নেই। একই অবস্থা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের। হলগুলোতে তাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছাত্রীদের হলে প্রার্থী দিতে তারাও ব্যার্থ হয়েছে। তবে ভিন্নচিত্র দেখা গেছে ছাত্রদলে। ছেলেদের সব হল গুলোতে কয়েকটি পদ ব্যাতীত বেশিরভাগ পদেই প্রার্থী দিয়েছেন তারা। তবে ছাত্রীদের হল গুলোতে তারাও কোন প্রার্থী দেয়নি।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, ছাত্রদের হলগুলোতে আমাদের সংগঠনের প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন। তবে ছাত্রী হলগুলোতে ছাত্রী সংস্থার কোনো প্রার্থী নেই। কিছু প্রার্থী রয়েছে, যাদের আমাদের প্যানেল সমর্থন দেবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান বলেন, সব হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সব হলেই আমাদের নেতা-কর্মী এবং সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন। ছাত্রদের ৬ থেকে ৭টি হলে ভিপি, জিএসসহ শীর্ষ পদে আমাদের প্রার্থী রয়েছেন।
ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, আমরা ছেলেদের সব হলেই কয়েকটি পদ ব্যাতীত প্রায় সকল পদেই প্রার্থী দিয়েছি। আর মেয়েদের হলে আমরা কোন প্রার্থী দেইনি।মেয়েদের হল গুলোতে উন্মুক্ত রেখেছি সবার জন্য।
এদিকে, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে দেখা যায় মেয়েদের ১০ টি হলের ১৫০ পদের মধ্যে ৪৪ টি পদে নির্বাচন করছেন না কোন প্রার্থী। আর বিনা ভোটে জয়ী হবে এমন পদের সংখ্যা ৫৫ টি। অন্যদিকে ছেলেদের হলের ১৬৫ পদের ১০ টি পদে নির্বাচন করছেন না কোন প্রার্থী। আর বিনা ভোটে জয়ী এমন পদের সংখ্যা ৪৭ টি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আপাতত এ পদগুলো ফাঁকা রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরে পদগুলো ফাঁকা রাখা হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৯ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত।
কেকে/ আরআই