রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে নেমে সায়মা হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী এবং তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী তওফিক রহমান মহিন বলেন, আজ এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে সাঁতার প্রশিক্ষণের সময় এক আপু পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েক মিনিট ধরে তিনি পানির নিচে ছিলেন, কিন্তু কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। প্রশাসন এমন প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে যারা নিজেরাই সাঁতার জানেন না—এটা দুঃখজনক। উপস্থিত অনেকেই শুধু তাকিয়ে ছিল। আমি জিমের সামনের মাঠে ছিলাম। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে নিচে নেমে মেয়েটিকে তুলি, কিন্তু তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে। রাবি মেডিকেল সেন্টারে অক্সিজেনও ছিল না এমন অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া যায় না।
অন্য এক শিক্ষার্থী মো. রায়হান আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মিত নিয়োগের কারণে আজ ঝরে গেল এক তরুণীর প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জবাবদিহি থাকা জরুরি।
রামেক হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বলেন, শিক্ষার্থীটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা মেডিকেলে গিয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত চলছে।
কেকে/ আরআই