রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ছাত্র সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র বিতরণের সময়সীমা পাঁচ দিন (৩১ আগস্ট পর্যন্ত) বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখও পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে নির্বাচন কমিশনের এক সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্র হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে স্থাপন করা, ভোটার লিস্টে ছবি সংযুক্ত করা এবং মনোনয়ন পত্র বিতরণের সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখও পরিবর্তন করা হতে পারে। তবে, এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।
সময়সীমা পরিবর্তনের কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরিবর্তন হওয়া একটা কারণ। এছাড়া ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন এবং ডোপ টেস্ট করাটাও সময় বাড়ানোর কারণগুলোর অন্যতম।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক, অধ্যাপক আমিনুল হক ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপনের প্রতিবাদে একযোগে বিক্ষোভ করছে ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রপক্ষসহ, সাবেক সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ক্যাম্পাসে একটি ছাত্র সংগঠনের তাবেদারি না করে নির্ধারিত সময়ে রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, আজকে শেষ সময়ে এসে কোনো একটা দলকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া জন্য তারা অযৌক্তিকভাবে মনোনয়ন উত্তোলনের সময়সীমা পাঁচ ছয় দিন বাড়াল। এটা একেবারে অযৌক্তিক হয়েছে। আমরা ভেতরে মিটিং করেছি, নির্বাচন সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। এইভাবে যদি পেছাতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে না। এটা নিশ্চয় কোনো একদল গোষ্ঠীকে তাদের স্বার্থকে সুবিধা দেওয়া জন্য করা হয়েছে। এটা সবাই বুঝতে পারতেছে। এজন্য আমরা ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠন মিলে সঠিক সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়নে চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দুই দফায় রাকসু নির্বাচনের তফসিল পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছিল।
কেকে/এআর