মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিওধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন কলেজছাত্রী রিমি আক্তার।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজছাত্রী হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ধীপুর ইউনিয়নের ভ্রামনভিটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ভুক্তভোগীর পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নিহত কলেজছাত্রী বিক্রমপুর-টঙ্গীবাড়ী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং রাউতভোগ গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় তরুণীর পিতা বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে জিসান ও শ্রাবনীকে আসামি করে মামলা করেন। যাহার মামলা নম্বর ২। জিসান পশ্চিম সোনারং গ্রামের আলমগীর শেখের ছেলে ও শ্রাবণী শিমুলিয়া গ্রামের হায়দার ফকিরের মেয়ে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রেমের নাম করে এমন প্রতারণা ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তারা হুঁশিয়ারি দেন—দোষীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একই সঙ্গে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
নিহত রিমির মা সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘প্রায় ১৬ মাস ধরে থানায়-আদালতে ছোটাছুটি করছি, কিন্তু আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না। মামলা দিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।’
টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, বক্তব্য দরকার নাই, বক্তব্য নিলে আমার কাছে আসবেন।
কেকে/এএস