বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাবি শাখার হল সভাপতি হলেন সাবেক জামায়েত আমিরের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হল কমিটি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাবি শাখা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সভাপতি হিসাবে নাম দেখা যায় হামিদুল্লাহ সালমানের।
খোজ নিয়ে জানা যায়, হামিদুল্লাহ সালমানের বাবা মাওলানা আবদুর রহিম পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির। এছাড়াও শামীম মোল্লা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ছেলে হামিদুল্লাহ সালমানকে বাঁচাতে রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছিলো তার নামে।
এ বিষয়ে হামিদুল্লাহ সালমান বলেন, ‘কমিটি গঠন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে হল কমিটি গঠন করায় বর্তমান কমিটিকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর গণতন্ত্র বলে মানুষ তার ইচ্ছা স্বাধীন রাজনৈতিক আদর্শকে বেছে নিতে পারে। সেই পথ অবলম্বন করেই আমার বাবার একটা রাজনৈতিক আদর্শ লালন করে আমি একটা রাজনৈতিক আদর্শ লালন করি। আমার বাবা জেলা জামায়েতের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। তিনি জেলা জামায়েতের আমির ছিলেন। আমি আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই প্রকাশে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। অন্য কোন দলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিলো না।
শিবিরের গুপ্ত রাজনীতির অংশ কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তো এখন একটি নিরপেক্ষ সরকার বিদ্যমান। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা বা সংবাদ মাধ্যম তদন্ত করে বের করুক। আমি আমার দলকেও জানিয়েছি এমন কিছুর প্রমাণ পেলে আমি স্বেচ্ছায় ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে দিবো।’
এ বিষয়ে ছাত্রদল জাবি শাখার সভাপতি জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, ‘তিনি ২০১৯ সাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। শুধুমাত্র ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে সে বেশ কয়েকবার ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছে। সে ত্যাগী কর্মীদের মধ্য অন্যতম। এখন বাবার মতাদর্শের কারণে ছেলেকে অবমূল্যায়ন কোনভাবেই গণতান্ত্রিক চর্চার উদাহরণ হতে পারে না।’
কেকে/এজে