রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চলমান পরিস্থিতির কারণে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে।
স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া আর মানবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ন্যাটোর ‘রাশিয়াবিরোধী নীতিকে’ দায়ী করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মস্কো এর জবাবে আরো পদক্ষেপ নেবে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, সোমবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর মেদভেদেভে এ আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। সম্প্রতি তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগযুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
মেদভেদেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেন, ‘মাঝারি ও স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ন্যাটো দেশগুলোর রাশিয়াবিরোধী নীতির ফলাফল। এটি একটি নতুন বাস্তবতা, যা আমাদের সব প্রতিপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে। আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রাশিয়ার ক্ষমতাধর নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে বেশ কয়েকবার কট্টরপন্থি মন্তব্য করেন। তবে ‘আরো পদক্ষেপ’ কী হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে মেদভেদেভের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি দুটি মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিনকে ‘উপযুক্ত অঞ্চলে’ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চলমান পরিস্থিতির কারণে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ‘যেহেতু পরিস্থিতি ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত স্থলভিত্তিক মাঝারি ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকৃত মোতায়েনের দিকে এগোচ্ছে, তাই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, অনুরূপ অস্ত্র মোতায়েনের ওপর একতরফা স্থগিতাদেশ বজায় রাখার শর্তগুলো আর থাকছে না।’
কেকে/এএস