ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) নির্মাণাধীন ছাত্র হলের ছাদ ধসে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে ক্যাম্পাসের নতুন ১০ তলা ছাত্র হল ভবনের দ্বিতীয় তলার ঢালাই চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকাল ৪টার দিকে ছাদের পূর্ব-দক্ষিণ অংশে ঢালাই শুরু হলে হঠাৎ কাঠামো দুলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়ে পুরো অংশ। এতে উপরে কাজ করা শ্রমিকরা নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। আহতদের কোমর, হাঁটু ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে দ্রুত তাদের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কর্মরত এক শ্রমিক জানান, দুপুরে ঢালাই কাজ শুরু হয়। বিরতির পর বিকেল চারটার দিকে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। হঠাৎ ছাদ ধসে পড়ায় অন্তত ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আশরাফুল আলম এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে যাই। দশ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন, একজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য ১০ তলা ভিতসহ ১০ তলা ছাত্র হলের পোর্চের ঢালাই চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
দুর্ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন (ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), ড. মো. আশরাফুল আলম (পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর), মো. অলি উল্লাহ (সহকারী অধ্যাপক, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা), সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম (প্রকল্প পরিচালক, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প) এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম (উপপ্রধান প্রকৌশলী, প্রকৌশল দপ্তর)। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কেকে/ এমএস