রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর মো. ফজলে রাব্বি সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুন্না ওরফে পিচ্চি মুন্নাকে (২১) রাজধানীর চকবাজার থানাধীন ইসলামবাগ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় র্যাবের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয় জানান।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর মো. ফজলে রাব্বি সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুন্না ওরফে পিচ্চি মুন্নাকে ৩০ জুলাই রাজধানীর চকবাজার থানা এলাকার ইসলামবাগ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
র্যাব জানিয়েছেন, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মো. ফজলে রাব্বি সুমন ও তার পরিবার মোহাম্মদপুর থানাধীন পাবনা হাউজ গলি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। এরই সুবাদে আসামি মো. মুন্না ওরফে পিচ্চি মুন্নার সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয় এবং মাদক বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আসামির সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরে। মো. ফজলে রাব্বি সুমন আসামি মুন্না ওরফে পিচ্চি মুন্নাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় এবং গত ১ মাস আগে জামিনে বের হয়ে আসে। গত ২৬ জুলাই মো. ফজলে রাব্বি সুমনকে হত্যা করা হয়।
আরো জানা গেছে, ওইদিনই নারায়নগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুর থানাধীন পাবনা হাউজ গলি এলাকায় তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ফোন কলের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমনকে ধারালো চাপাতি দিয়ে আসামি মো. মুন্না ওরফে পিচ্চি মুন্না ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-২ গত ৩০ জুলাই রাজধানীর চকবাজার ইসলামবাগ এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য যে, আসামির বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আরো ৩টি মামলা রয়েছে।
এ ছাড়াও গত এক মাসে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে রাজধানীতে, সেসব ঘটনায়ও র্যাবের বিশেষ অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
আল-আমিন হত্যার ঘটনায়ও দুজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ ছাড়াও এক অপহরণের ঘটনায় এক ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে র্যাব, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করলে সেই কিশোর গ্যাং সদস্যদেরও গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে। র্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে এই বাহিনীটি।
কেকে/এএম