জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা সম্পূরক বৃত্তি ও কেন্দ্রিয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনের দুই দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীবৃন্দ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তবে মানববন্ধনে ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্রফ্রন্ট, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
এতে শিক্ষার্থীরা আগামী দুই কর্মমদিবসের মধ্যে জকসু ও সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণার দাবি জানান। এর ব্যপ্তয় হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম আমাদের অবহেলা শেষ হবে, সেই আশায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়ে আসি। কিন্তু তারপরেও কিছু বাস্তবায়ন হয়নি।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশ নেতা মাসুদ রানা বলেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর ভেবেছিলাম আমাদের কোনো দাবি চাওয়ার আগেই আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসন আন্দোলন ব্যতীত কিছুই দিতে পারেনি। এমনকি আন্দোলন করার পরও এই দাবি এখনো পূরণ হয়নি। ডাকসু রাকসু জাকসু যদি হয়, তাহলে জকসু কেন হবে না তা এই প্রশাসনের জবাব দিতে হবে। এই সপ্তাহের মধ্যে যদি জকসুর রোডম্যাপ, সম্পূরক বৃত্তির ব্যবস্থা না হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুর ইসলাম বলেন, আজকে আমরা একটি মোলিক বিষয় নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা বারবার দাবি করার পরও, হল নিমান, সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। দ্রুত হবে, শিগগিরই হবে এমন কথা যদি আর কেউ বলে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিলে যে আন্দোলন হবে তা সামাল দেয়াড় সক্ষমতা আপনারা রাখবেন না।
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আমাদের লোক যদি চেয়ারে বসাই, আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারব। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে আমরা আপন না এনে পর এনলেই বুঝি ভালো ছিল। যেদিন আমরা লং মার্চ যমুনা করি সেদিন প্রশাসনের অনেকের দেখি মন খারাপ হয়েছে। মনে রাখবেন যদি আবাসন ভাতা, ছাত্রসংসদ না দেন আমরা আপনাদের আরো মন খারাপ করে ছাড়ব। প্রশাসন গত এক বছরে জকসুর নীতিমালা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করেছে, তাহলে তারা কত বছরে জকসু নির্বাচন দেবে। আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে বলবেন, ঠিক কত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের সম্পূরক বৃত্তি পাবে, জকসুর রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করবেন।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কেকে/এএম