কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় সাত মাস ধরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদটি শূন্য পড়ে আছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা অফিসের নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকি, পরিদর্শন এবং বিভিন্ন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ফলে প্রভাব পড়ছে মাধ্যমিক পর্যায়ের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ মাহমুদা আক্তার ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেঘনায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু বয়সজনিত কারণে ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি অবসরে যান। এরপর থেকে পদটি শূন্য পড়ে আছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে দাউদকান্দি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজ আফরোজকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলেও, তিনি নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় কার্যত মেঘনার শিক্ষা প্রশাসন চলছে সীমিত পর্যায়ে।
মানিকারচর সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, একজন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রমে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত ফাইল প্রেরণ, অনুমোদন, রুটিন প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ সব ক্ষেত্রেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে এবং মানসিক চাপও বাড়ছে।
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, আমি দাউদকান্দি উপজেলায় কর্মরত থাকলেও মেঘনার দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করছি। তবে দুই উপজেলার কাজ একযোগে সামাল দেওয়া নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। এতে মেঘনার কিছু কাজে স্বাভাবিকভাবেই বিলম্ব ঘটছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যাপী দাস খোলা কাগজকে বলেন, উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন। এ ছাড়াও আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই একজন স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়ন হবে।
কেকে/এএম