বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান সংগঠক, প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবার্ষিকী আজ।
১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাজউদ্দীন। ভাষা আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন ও বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের পরও সামরিক শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানালে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩ নভেম্বর একই কারাগারে জাতীয় চার নেতার সঙ্গে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তাঁর শততম জন্মদিন উপলক্ষে তাজউদ্দীন পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন তাজউদ্দীনের কন্যা শারমিন আহমদ ও পুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
কেকে/এআর