ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ভূমিসেবার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ গ্রহণ, লিপিবদ্ধকরণ, তদন্ত, এবং নিষ্পত্তি যথাযথভাবে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। অভিযোগকারীর সমস্যা সমাধান করা এবং প্রতিষ্ঠানের সেবার মানোন্নয়ন করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনের কনফারেন্স হলে ‘অভিযোগ ব্যবস্থাপনা গাইড এর(খসড়া) চুড়ান্তকরণে’ অংশীজনের অংশগ্রহণ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনলাইন অফলাইন বা অন্য যে কোনোভাবেই অভিযোগ আসুক না কেনো—তা আমলে নিতে হবে। এমনকি গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ প্রকাশ হলে তা আমোলযোগ্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে নিস্পত্তি করতে হবে। কোনো অসম্পূর্ণ আবেদন নিস্পত্তি করা যাবে না। নাগরিকদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিস্পত্তির বিষয়ে নাগরিকদপর মতামত জানতে হবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, অভিযোগ করলেই তার পক্ষে যাবে তা নাও হতে পারে। অভিযোগ কোনো মামলা নয়, এটি সেবা হতে বঞ্চিতের প্রতিবাদ। অভিযোগ হ্রাস করার জন্য কাজ করতে হবে। এর জন্য অভিযোগ যতদ্রুত সম্ভব তদন্ত করে নিষ্পত্তি করতে হবে। এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, যা জনগণের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে সহায়তা করে। সেবা নিশ্চিতকরণের একটি প্ল্যাটফর্ম।
সেমিনারে বক্তারা জানান, প্রতিদিন গড়ে ১০টি হার্ড কপিতে অভিযোগ এবং একশর মতো টেলিফোনে অভিযোগ আসে সেবা কেন্দ্রে। সারাদেশে ভূমিসেবা অফিস ৫২৪৭টি এবং ৭৪৩ ভূমিসেবা কেন্দ্র রয়েছে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব)এএসএম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. মো. মাহমুদ হাসান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব(জরিপ ও সায়রাত অনুবিভাগ) সায়মা ইউনুস, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।
পরে ভূমি ভবনে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটেমেশন প্রকল্প অফিসের সম্মেলনকক্ষে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেম-সফটওয়্যারসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র সচিব।
কেকে/এজে