বিয়ের কনে উর্মি। বাড়ি ভর্তি মেহমান। দুপুরের খাওয়া শেষে অপেক্ষা বরের জন্য। বরযাত্রী আসার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে বলে জানতে পেরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে ছুটে যান বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরা। তিনি ওই বিয়ে বন্ধ করে পরিবারকে কাছ থেকে নেন মুচলেকা।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাহেরচর গ্রামে মো. মশিউর রহমানের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।
জানা গেছে, বিয়ের সব আয়োজনই ছিল সেখানে। এরই মধ্যে বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরা। পরে তিনি বাল্য বিবাহের সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ওই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউপি সদস্য, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরা জানান, আজ সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাহেরচর গ্রামে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেছি। মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে কারাবাসসহ যেকোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কোথাও বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে, দ্রুত প্রশাসনকে জানানোর জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
কেকে/ এমএস