জুলাইয়ের গণভ্যুত্থানে নিহত শহিদ জিহাদের সমাধিতে পুস্পস্তপক অর্পন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা ছাত্রদল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বশারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। বাদ জহুর শহিদ জিহাদের বাবা পরিবারিকভাবে কোরআন খতম ও দোয়া মিলাদের আয়োজন করেন নিজ বসত ঘরে।
নিহত শহিদ জিহাদ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মো. নুরুল আমিন মোল্লা ছোট ছেলে, ঢাকা কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
গত বছর ১৯ জুলাই ছাত্র জনতার গণভ্যুত্থানে ঢাকার কাজী নজরুর কলেজের মেধাবী ছাত্র যাত্রাবাড়ি ব্রিজে নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে সহপাঠিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে ২০ জুলাই রাত ১১ টার সময় অ্যাম্বুল্যান্স যোগে নিজ বাড়ি দশমিনা উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। ২১ জুলাই সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত শহীদ জিহাদের বাবা নুরুল আমিন মোল্লা খোলা কাগজকে বলেন, আমার ছেলের আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। আমার ছেলে সহজ সরল ছিল। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন ছিলো। গত বছর ১৯ জুলাই বিকালে শুনতে পাই জিহাদ গুলিবিদ্ধ হয়। সন্ধ্যায় খবর আসে মারা যায়। ওর মৃত্যুর কথা শুনে আমার পরিবারের সকল স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়। ছেলের হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবি করছি। তা হলে মরেও শান্তি পাব।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদ জিহাদের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে খোলা কাগজকে বলেন, শহিদ জিহাদ আমাদের অনুপ্রেরনা। জুলাইয়ের আন্দোলনে জিহাদের মত হাজারো ছাত্র জনতাকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার অনুসারিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে এনে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান জানাই।
কেকে/এজে