পটুয়াখালীর দশমিনায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিডির নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হলেন, উপজেলার ১নং রনগোপালদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার হোসেন মুন্সি।
জানা যায়, উপজেলার ১নং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মুন্সি চলমান ভিজিডির নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন অসহায়, হতদরিদ্র লোকদের কাছ থেকে নাম প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন । ভিজিডির নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ওই ওয়ার্ডের মো. সোহেল ইউপি সদস্যের কাছে ভোটার আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে গেলে তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কাগজপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেন ৫ হাজার টাকা দিলে ভিজিডি নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সোহেল নামে এক ভুক্তভুগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই ইউপি সদস্যের উৎকোচ গ্রহণের বিষয় লিখিত আবেদন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।
ভুক্তভোগী মো. সোহেল খোলা কাগজকে জানান আমি অসহায়, গরীব তাই ভিজিডির আবেদন করার জন্য আনোয়ার হোসেন মুন্সির কাছে যাই। তিনি আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে না পারায় ইউপি সদস্য আমার কাগজ ছুড়ে ফেলে দেয়। আমি ইউএনও মহোদয়কে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম রুবেল জানান, আগে আবেদন করতে হবে। বিষয়টি শুনেছি। ভিজিডির নামে টাকা নেওয়ার কোনো বিষয় নাই আমার জানা মতে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মুন্সি জানান, এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, এর কোনো সত্যতা নেই। স্থানীয় সরকারের বিধিমালা অনুসারে ভিজিডি বাছাই হবে। এখানে আমার টাকা নেওয়ার কোনো কারন নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইরতিজা হাসান খোলা কাগজকে জানান, সোহেলের একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কেকে/ এমএস