বৃষ্টির সঙ্গে মাত্র ২ মিনিটের ঘুর্ণিঝড়ে সিরাজগঞ্জে ৪ গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ঝড়ের কারণে রাস্তায় গাছপালা পড়ে চলাচলসহ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের বাহুকা, ইটালি, চিলগাছা ও চর-চিলগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের পরে লোকজন তাদের আসবাবপত্র বিভিন্ন স্থান থেকে কুড়িয়ে আনতে দেখা গেছে। অনেকে গাছাপালা সরিয়ে রাস্তা সচল করার চেষ্টা করছে। মাত্র ২ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ৪ গ্রামের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকেরই বসতঘর ঝড়ে উড়ে নিয়ে গেছে। তারা খোলা আকাশে বসবাস করতে দেখা গেছে।
রতনকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর ২টার পর গ্রামগুলোর এক পাশ থেকে কালো মেঘের মতো ভেসে আসতে থাকে। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে ৪টি গ্রামের বহু বসতবাড়ির টিনের ঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। কিছু কিছু ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বেশ কিছু গাছপালা রাস্তার ওপরে ভেঙে পড়ে কয়েকটি গ্রামের চলাচলের রাস্তাসহ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময় ৪ গ্রামের বিভিন্ন জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ও মুরগির খামার ভেঙে গেছে।
বাহুকা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত শামিম হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরের মধ্যে বসে ছিলাম। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে সংসারের সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কোনো রকম প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছি। ঝড়ে বসতঘর উড়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছি।
ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড গাছপালা
রতনকান্দি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জুবায়েল হোসেন বলেন, শুধু চরচিলগাছাতেই অন্তত ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএনও অফিসে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।
রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. মেরাজ হোসেন মিসবাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পিআইওকে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলকায় আমিও যাবো।