নারীদের ক্রিকেট দলগত ক্রীড়া হিসেবে পরিচিত ক্রিকেটের এক ধরনের পদ্ধতি। এতে শুধু নারীরা খেলে থাকেন। রিডিং মার্কারি পত্রিকায় ২৬ জুলাই, ১৭৪৫ তারিখে প্রথম নারীদের ক্রিকেট খেলা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ব্রামলে ও হ্যাম্বলডনের ১১ জন নারী সাদা পোশাক পরিধান করে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
ছবি : সংগৃহীত
১৮৮৭ সালে হোয়াইট হিদার ক্লাব নামে ইয়র্কশায়ারে প্রথম মহিলাদের ক্রিকেট ক্লাব সম্বন্ধে জানা যায়। তিন বছর পর অরিজিনাল ইংলিশ লেডি ক্রিকেটার্স দল ইংল্যান্ডে ভ্রমণ করে। ১৮৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় মহিলাদের ক্রিকেট লিগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে মহিলাদের ক্রিকেট দল পাইওনিয়ার্স ক্রিকেট ক্লাব গঠন করা হয়। কানাডার ভিক্টোরিয়ায়ও নারীদের ক্রিকেট দল গঠন করা হয় যারা বিকন হিল পার্কে খেলেছিল।
ছবি : সংগৃহীত
১৯৫৮ সালে নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল গঠন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- বিশ্বের সকল মহিলাদের ক্রিকেট দলের মাঝে সমন্বয় সাধন করা। নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ইংরেজ নারী ক্রিকেট সংস্থার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল। এ সংস্থাটি ৩২ বছর পূর্ব থেকেই একই ধরনের কাজ করত। ২০০৫ সালে নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সাথে একীভূত হয়। এর ফলে মহিলাদের ক্রিকেট পরিচালনা ও উন্নয়ন আরো সহজতর হয়।
ছবি : সংগৃহীত
নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
ডিসেম্বর, ১৯৩৪ সালে সর্বপ্রথম নারীদের টেস্ট ম্যাচ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটারগণ অংশ নিয়েছিলেন। পরের বছর নিউজিল্যান্ড জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল যোগ দেয়। ২০০৭ সালে নেদারল্যান্ডসের নারী ক্রিকেটারগণ দশম মহিলাদের টেস্টভুক্ত দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অংশ নেয়।
ছবি : সংগৃহীত
১৯৭৩ সাল থেকে নারীদের একদিনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর ফলে দ্রুত নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচিতি পেতে থাকে। নারীদের ওডিআইয়ের প্রচলনের পর টেস্ট ক্রিকেটের তুলনায় আট গুণ বেশি খেলা হয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের শিরোপাগুলো নিজেদের করে নিয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
২০০৪ সালে নতুন ধরনের ক্রিকেটের প্রচলন হলে, নারীদের টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটেরও প্রচলন হয়। কিন্তু, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ খেলাটি খুব কমই সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। ২০০৬ সালের শেষ ভাগ পর্যন্ত মাত্র চারটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরের তিন বছর এটি দ্রুতলয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ২০০৭ সালে ৬টি, ২০০৮ সালে ১০টি ও ২০০৯ সালে ৩০টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া, ২০০৯ সালে নারীদের প্রথম বিশ্ব টুয়েন্টি-২০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।