মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তানে প্রকাশ্যে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এখন এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত তোকায়েভের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, মুখ ঢেকে রাখলে ব্যক্তি শনাক্ত করা কঠিন হয় এবং এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমস্যা তৈরি হয়। এ ছাড়া, তারা চায় দেশের ঐতিহ্যগত ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতি বজায় রাখতে।
নতুন এই আইনে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। যেমন—চিকিৎসাজনিত প্রয়োজনে, শীতপ্রধান আবহাওয়ায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনে, সাংস্কৃতিক বা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে, জরুরি সেবার কাজে, এই ক্ষেত্রগুলোতে মুখ ঢেকে রাখা যাবে।
এর আগেও কাজাখস্তানে ধর্মীয় পোশাক পরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
২০১৭ সালে স্কুলছাত্রীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে একই নিয়ম শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
রাষ্ট্রপতি তোকায়েভ নিজে মুসলিম হলেও তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, নিকাব হলো মৌলবাদীদের চাপিয়ে দেওয়া পোশাক, যা কাজাখ সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মের ভূমিকা থাকা উচিত নয়।
এদিকে, উজবেকিস্তান ও কিরগিজস্তানেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই চালু রয়েছে। এসব দেশের সরকার দাবি করছে, ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলায় এ ধরনের পদক্ষেপ জরুরি। সূত্র : নিউজ১৮
কেকে/এএম