পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জেরে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তার ভাবীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১২ দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকায় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) কেওত কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহত ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) চরবলেশ্বর এলাকার মৃত আসলাম হাওলাদারের পুত্র, নিহত মৌকলি বেগম (৪৮) শহিদুল ইসলামের (ভাবি) মর্তুজা হাওলাদার এর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুলের বাড়িতে ডাক চিৎকার শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন এসে দেখে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবিকে পুকুর পাড়ে কুপিয়ে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে গেলে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর আহত রেহেনা বেগম জানান, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ আরো ৪-৫ জন আমাদের পরিবারে এসে অতর্কিত হামলা করে আমার স্বামীকে এবং ভাবিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্য করে ফেলে রাখে। আমাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। ইউনুস এর সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ ছিলো তাই সবাইকে মেরে ফেলতে চেয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইউনুস (৪০) উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, পার্শ্ববর্তী বাড়ির সাথে পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
কেকে/এআর