ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার তিব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে, সৌদি আরব ও পাকিস্তান।
রোববার (২২ জুন) এ প্রতিবাদ জানায় সৌদি আরব ও পাকিস্তান।
এক বিবৃতিতে সৌদি আরব জানিয়েছে, “ইরানের ঘটনাবলী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় সৌদি আরব গভীর উদ্বেগের সাথে নজর রাখছে।”
বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে “সংযম অনুশীলন”, উত্তেজনা হ্রাস এবং আরো উত্তেজনা রোধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে “রাজনৈতিক সমাধান” অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। এই হামলার পর আঞ্চলিক উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে, উল্লেখ করে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।
পাকিস্তান বলছে, আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সব নিয়ম লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ সনদের অধীনে ইরানের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার এবং অবিলম্বে সংঘাতের অবসানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে আহ্বানও জানিয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২২ জুন) রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান। পরে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন।
এ সময় ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, "হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরো অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি। মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাব।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেওয়া। সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেওয়া।’
কেকে/এআর