ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপস্থাপিকা সাহ এমামি সম্প্রতি এক লাইভ সম্প্রচারের সময় ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছেন। সেই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠার পর তা এখন ইসরায়েলি টিকটক ব্যবহারকারীদের ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্টে রূপ নিয়েছে—যা ঘিরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ঘটনা ঘটে সোমবার (১৬ জুন) বিকালে তেহরান সময় অনুযায়ী দুপুর ৩টার দিকে। তখন ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম IRIB-এর প্রধান স্টুডিওতে সাহার এমামি লাইভে ছিলেন। তিনি যখন ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে কথা বলছিলেন, তখনই বিকট এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো স্টুডিও। ক্যামেরার ফ্রেম কাঁপে, পেছনের পর্দা অন্ধকার হয়ে যায়, ধুলা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। এমামি থেমে যান, কিছু সময়ের জন্য স্টুডিও ছাড়েন। পরে ফিরে এসে বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীরা শহীদ হয়েছেন’।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হামলার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ইরানি প্রপাগান্ডার কেন্দ্রবিন্দু IRIB-কে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। আমরা স্বৈরাচারী ইরানি নেতাকে সব জায়গায় পরাজিত করব।
এই ঘটনার ভিডিও কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে এক্স, ফেসবুক ও টিকটকে। তবে এরপর তা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের রূপ নেয় ইসরায়েলি টিকটকারদের মাধ্যমে। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে শত শত ভিডিও তৈরি হচ্ছে, যেখানে সাহার এমামির বিস্ফোরণকবলিত মুখভঙ্গি, হতবিহ্বলতা আর থেমে যাওয়া কণ্ঠ—সব কিছুই পরিণত হচ্ছে ব্যঙ্গাত্মক উপাদানে। কেউ র্যাপ গানের সুরে, কেউ আবার অ্যাকশন মুভির সাউন্ড ইফেক্টে এই ভিডিও সম্পাদনা করছেন।
কেকে/ এমএস