ইরানের হামলার বিপরীতে ইসরায়েল হামলা চালালে পাল্টা আক্রমণ আরও তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
রোববার (১৫ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েলে হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা এমন সব স্থাপনায় আঘাত হেনেছে—যেগুলো যুদ্ধবিমান চালানোর জ্বালানি উৎপাদন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে জড়িত।
বিবৃতিতে আইআরজিসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে ইরানের প্রতিরোধমূলক আক্রমণ আরো জোরালো ও বিস্তৃত হবে।
একই বিবৃতিতে ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েলের আক্রমণের সময় তারা তাদের নিজস্ব আকাশসীমায় অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলোতে তিনটি ক্রুজ মিসাইল, ১০টি ড্রোন এবং আরো বহু ক্ষুদ্র আকারের হামলাকারী ড্রোন শনাক্ত করে ধ্বংস করেছে।
একইসাথে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আইডিএফ বলছে, হামলার লক্ষ্যস্থলগুলোর মধ্যে ছিল—ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর, ডিফেন্স ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সংস্থার কার্যালয় এবং এমন কিছু গোপন স্থাপনা যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল বা গোপনে পারমাণবিক দলিল সংরক্ষণ করছিল।
এদিকে দখলদার ইসরায়েলে শনিবার মধ্যরাত ও রোববার ভোরে দুই দফা হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে ব্যবহার করা হয়েছে দ্রুতগতির মিসাইল। দুইবারের এ হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন।
এরমধ্যে শুধু উত্তর ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরায়েলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি অধ্যুষিত। অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
কেকে/এজে