ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের অন্তত ১২ জন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিতে যুক্ত এই বিজ্ঞানীদের হত্যাকে ইরানের অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বড় ধাক্কা বলে দাবি করেছে তেলআভিভ।
শনিবার (১৪ জুন) ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে চালানো বিমান হামলায় ইরানের ৯ জন জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন দাবি করেছে, নতুন আরেক দফা হামলায় আরো ৩ জন বিজ্ঞানী প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কর্মসূচির মূল গবেষক ও প্রযুক্তিবিদরা।
প্রাণ হারানো ৯ বিজ্ঞানী হলেন—পারমাণবিক প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ ফেরেইদুন আব্বাসি, পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি, রসায়ন প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ আকবর মোতালেবি জাদেহ, ম্যাটেরিয়াল প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ সাঈদ বারজি, পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ আমির হাসান ফাখাহি, রিঅ্যাক্টর ফিজিক্স বিশেষজ্ঞ আব্দ আল-হামিদ মিনোশেহর, পদার্থবিজ্ঞানী মানসুর আসগারি, পারমাণবিক প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ আহমদ রেজা জুলফাগারি দারিয়ানি ও যান্ত্রিক প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ আলী বাখৌয়েই কাতিরিমি।
ইসরায়ালি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, যেসব বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হত্যা করা হয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানভাণ্ডার ছিলেন। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে তাদের কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা ছিল। ইরানি এই বিজ্ঞানীদের অনেকেই মোহসেন ফাখরিজাদেহর উত্তরসূরি ছিলেন। ২০২০ সালে ইসরাইলি হামলায় ফাখরিজাদেহ নিহত হন। ‘ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের জনক’ হিসেবে মনে করা হতো মোহসেন ফাখরিজাদেহকে।
এর আগে শুক্রবার ভোরের দিকে তেহরানে একযোগে চালানো হামলায় ওই ৯ বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। একই হামলায় আরও ডজনখানেক সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরাইল; যাদের মধ্যে ৬ জন ছিলেন শীর্ষ পর্যায়ের।
কেকে/এএম